গোটা দেশকে জুড়ে রেখেছে ভারতীয় রেল। এখনও দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে রেলপথই ভরসা দেশের অধিকাংশ মানুষের। কিন্তু যদি বলা হয়, গন্তব্যের মতোই সুন্দর হতে পারে রেলযাত্রাও? দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে এমন সব রেলপথ যেগুলি দেখলে মুগ্ধ না হয়ে পাড়া যায় না।
2
7
মুম্বই থেকে গোয়া যাওয়ার পথ: কোঙ্কন রেলপথের অন্যতম সবচেয়ে সুন্দর অংশ এটি। একদিকে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা, অন্যদিকে আরব সাগর দেখতে দেখতে কখন সময় কেটে যাবে বুঝতেও পারবেন না। পথে পড়বে ৯২ টি সুড়ঙ্গ।
3
7
ভাস্কো দা গামা থেকে লন্দা: গোয়া থেকে কর্ণাটক যাওয়ার এই রেলপথে দেখতে পাবেন অসংখ্য ছোট ছোট গ্রাম। যদি বর্ষার পর পর যান তবে এই রেলপথেই পড়বে বিখ্যাত দুধসাগর জলপ্রপাত।
4
7
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে: নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত এই রেলযাত্রা বাঙালির অতি পরিচিত। হিমালয়ের পাদদেশের চা বাগান, পাইন গাছের সারি, এবং ছোট ছোট গ্রাম চোখে পড়বে এই রেল যাত্রায়। ভাগ্য ভাল থাকলে দেখা মিলতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘার বরফে ঢাকা চূড়াও। 'টয় ট্রেন'-এর ধীরে ধীরে চলার কারণে চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভালভাবে উপভোগ করা যায়।
5
7
কালকা-শিমলা রেলপথ: কালকা থেকে শিমলা যাওয়া যায় এই রেল পথ ধরে। পাহাড়ের ঢাল, ঘন পাইন ও ওক গাছের জঙ্গল, এবং ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রাম দেখা যায় সুন্দর এই রেলযাত্রায়। পাশাপাশি এই রেল পথের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল অসংখ্য টানেল এবং বাঁক। ঠিক সময়ে গেলে শিমলার কাছাকাছি আসার সময় বরফে ঢাকা পাহাড় এবং উপত্যকার দৃশ্য দেখা যায়।
6
7
বিশাখাপত্তনম থেকে আরাকু উপত্যকাগামী রেলপথ: পূর্বঘাট পর্বতমালার ঘন সবুজ অরণ্য, কফি বাগান, এবং ছোট ছোট জলপ্রপাত দেখতে চাইলে চেপে পড়ুন ভাইজাগ থেকে আরাকু যাওয়ার ট্রেনে। পাবেন টানেল এবং সেতুর মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাও।
7
7
মণ্ডপম থেকে রামেশ্বরম: এই রেলপথটিকে কেউ কেউ ভারতের সবচেয়ে বিপজ্জনক রেলপথও বলে থাকেন। কারণ এই পথেই পড়ে পাম্বন রেলসেতু। রামেশ্বরম এবং মণ্ডপমকে যুক্ত করে এই সেতু। নীল জলরাশির উপর দিয়ে এই সেতু পার করতে ভাল লাগবে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের।