ওজন কমাতে চাইছেন হুড়মুড়িয়ে? পোচ, অমলেট নাকি সেদ্ধ, কীভাবে ডিম খেলে হবে কাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৪ : ৩৬
শেয়ার করুন
1
8
ডিমকে দীর্ঘদিন ধরেই অন্যতম পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ধরা হয়—এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ওজন কমানোর ডায়েট তালিকায় তাই ডিমের জায়গা স্থায়ী। তবে সব ডিম সমান নয়—বিশেষ করে কীভাবে আপনি তা রান্না করছেন, তার উপর নির্ভর করে এর পুষ্টিগুণ এবং ক্যালোরির পরিমাণ বদলে যেতে পারে। সিদ্ধ, পোচ বা অমলেট—যেভাবেই খান না কেন, রান্নার পদ্ধতি আপনার বিপাকক্রিয়া ও শরীরের শক্তি ব্যবহারে সূক্ষ্ম প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ আপনি কতগুলো ডিম খাচ্ছেন, তার মতোই গুরুত্বপূর্ণ হল কীভাবে খাচ্ছেন তা।
2
8
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সেদ্ধ ডিমকে অনেকেই ‘গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড’ মনে করেন। এতে তেল বা মাখন যোগ করতে হয় না, ফলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে এবং পুষ্টিগুণও অক্ষুণ্ণ থাকে।
3
8
এতে থাকা প্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড পেশি পুনর্গঠনে সহায়তা করে। প্রতি ডিমে ৮০ ক্যালোরিরও কম থাকে। দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে অপ্রয়োজনে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। কোনও অতিরিক্ত ফ্যাট বা টপিংস নেই, তাই পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ সহজ। প্রাতঃরাশ, ওয়ার্কআউটের পর বা হালকা প্রোটিনসমৃদ্ধ স্ন্যাকস হিসাবে খাওয়া যেতে পারে।
4
8
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পোচড ডিমও দারুণ একটি বিকল্প। জলে রান্না করা হয় বলে এতে অতিরিক্ত তেল বা মাখনের প্রয়োজন পড়ে না। এই পদ্ধতিতে ডিমের কোমলতা বজায় থাকে এবং পুষ্টিগুণও অটুট থাকে।
5
8
এতে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের নিখুঁত ভারসাম্য। কম ক্যালোরি এবং সোডিয়াম থাকে এতে। গোটা শস্যের রুটি বা অ্যাভোকাডোর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। হালকা অথচ পুষ্টিকর ব্রাঞ্চ বা দুপুরের খাবারের বিকল্প হিসাবে এটিকে খাওয়া যেতে পারে।
6
8
অমলেট স্বাস্থ্যকরও হতে পারে, আবার ক্যালোরি-বর্ধকও—সবকিছু নির্ভর করে কীভাবে বানাচ্ছেন তার উপর। পরিমিত তেল ব্যবহার ও শাকসবজি বা লীন প্রোটিন যোগ করলেই এটি পুষ্টিকর হয়ে ওঠে।
7
8
অমলেটকে আরও স্বাস্থ্যকর করার উপায়: নন-স্টিক প্যান ব্যবহার করুন। সামান্য অলিভ অয়েল বা কুকিং স্প্রে দিন। পালং শাক, মাশরুম, বেল পেপার ইত্যাদি যোগ করুন ফাইবার ও ভিটামিনের জন্য। অতিরিক্ত চিজ বা উচ্চ-ফ্যাটযুক্ত মাংস ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। সকালের জলখাবার বা হালকা লাঞ্চে স্বাদ ও পুষ্টির ভারসাম্য রেখে এটি খাওয়া যেতে পারে।
8
8
আপনার লক্ষ্য যদি ওজন কমানো হয়, তাহলে সেদ্ধ এবং পোচড ডিম নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ভাল বিকল্প—দু’টোই কম ক্যালরিযুক্ত, পুষ্টিতে ভরপুর ও সহজপাচ্য। অমলেটও ডায়েটে রাখা যেতে পারে, তবে তেল ও টপিংসের পরিমাণে সচেতন থাকতে হবে। শেষ পর্যন্ত, সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় হল এমনভাবে ডিম খাওয়া, যা আপনার খাবারকে একইসঙ্গে পুষ্টিকর, তৃপ্তিদায়ক এবং টেকসই রাখে।