প্রয়াত ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী ধর্মেন্দ্র। প্রবল চর্চায় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের অতিপ্রিয় নায়কের সম্পত্তির পরিমাণ। ছয় দশক ধরে কাজ করে ৩৩৫ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী ধর্মেন্দ্র। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রখর ব্যবসায়িক বুদ্ধির জেরেই সম্পত্তি বাড়াতে পেরেছিলেন এই অভিনেতা। এই সম্পত্তির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লোনাবালায় তাঁর খামারবাড়িটি।
2
6
বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠার পর, ধর্মেন্দ্র হোটেল ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। ২০১৫ সালে তিনি নয়াদিল্লিতে 'গরম ধরম ধাবা' বলে প্রথম রেস্তোরাঁ খোলেন। তারপর, ২০২২ সালে, তিনি কর্ণাল হাইওয়েতে 'হি-ম্যান' চালু করেন। কেবল ব্যবসা নয়, এই রোস্তোরাঁগুলির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে, কীভাবে খ্যাতিকে আরও বড় কিছুতে রূপান্তরিত করা যায়।
3
6
১০০ একরের লোনাভালা ফার্মহাউস: লোনাভালায় রয়েছে ধর্মেন্দ্রর ১০০ একরের ফার্মহাউস। মুম্বইয়ে কোহাললে থাকলেও পরিবার নিয়ে ধর্মেন্দ্র এই শান্ত জায়গায় গিয়ে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। লোনাভালা ফার্মহাউসে রয়েছে অত্যাধুনিক সুইমিং পুল, অ্যাকোয়া থেরাপি-র বিশেষ জায়গা এবং বিরাট সবুজে ভরা বাগান।
4
6
ধর্মেন্দ্র মহারাষ্ট্রে ১৭ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পত্তির মালিক ছিলেন। ৮৮ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের কৃষি জমি এবং ৫২ লক্ষ টাকার অকৃষি জমি রয়েছে এই অভিনেতার। লোনাভালাতে ১২ একর জমিতে ৩০টি কটেজের একটি রিসর্ট রয়েছে ধর্মেন্দ্র। প্রকৃতি বরাবর তাঁর খুব পছন্দের। তাই সবুজের মাঝে এই রিসর্ট তৈরি করেছেন তিনি।
5
6
বিলাসবহুল গাড়ি: গাড়ির প্রতি ধর্মেন্দ্রের ভালবাসা ছিল প্রবল। তাঁর জীবনের প্রথম গাড়ি ভিনটেজ ফিয়াট। তাঁর সংগ্রহে একটি রেঞ্জ রোভার ইভোক (৮৫.৭৪ লক্ষ টাকা) এবং একটি মার্সিডিজ-বেঞ্জ এসএল৫০০ (৯৮.১১ লক্ষ টাকা) রয়েছে। অভিনেতার গ্যারাজে পুরানো দিনের বিলাসবহুল গাড়ি যেমন রয়েছে, তেমনই নতুন যুগের বিলাসিতা সম্পন্ন গাড়িও রয়েছে।
6
6
অভিনয়ের সঙ্গেই ১৯৮৩ সালে, ধর্মেন্দ্র 'বিজয়তা ফিল্মস' প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রযোজনা সংস্থার ছবি থেকেই তাঁর রূপোলি পর্দায় তাঁর দুই পুত্র সানি ও ববির সফর শুরু হয়েছিল। ধর্মেন্দ্র বড় ছেলে সানির বলিউডে অভিনয়ে হাতেখড়ি ১৯৮৩ সালে 'বেতাব' দিয়ে, আর ছোট ছেলে ববি ১৯৯৫ সালে 'বরসাত'-এ প্রথম অভিনয় করেন। পরে, ২০১৯ সালে নাতি করণ দেওলের প্রথম ছবি, 'পাল পাল দিল কে পাস'-এরও প্রযোজক ছিলেন ধর্মেন্দ্র।