শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় যখন ‘পিউরিন’ নামের এক ধরনের যৌগ ভেঙে যায়। এটি সাধারণত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারে থাকে। কিডনি যদি সঠিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে না পারে, তবে তা রক্তে জমে গিয়ে নানা জটিলতা তৈরি করে — যেমন অস্থিসন্ধিতে ব্যথা বা গাউট।
2
5
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা দ্রুত বাড়ে। কিডনি তখন অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়ে এবং শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড ঠিকভাবে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে তা শরীরে জমে থেকে অস্থিসন্ধি ও কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি তৈরি করে।
3
5
হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের কেয়ার হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ডাঃ জি সুষমা জানিয়েছেন, পাকা কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি এতে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সহায়ক।
4
5
কলায় পিউরিনের পরিমাণ খুবই কম। তাই যাদের গাউট বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি নিরাপদ খাবার। কম পিউরিন মানে ইউরিক অ্যাসিড তৈরির সম্ভাবনাও কম, ফলে শরীরে ভারসাম্য বজায় থাকে।
5
5
ডাক্তারদের মতে, কলা সরাসরি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে না পারলেও এটি কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কলা খাওয়া ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে, তবে পরিমিত প্রোটিন গ্রহণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণও জরুরি।