সোমবার রাতভর একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহর কলকাতা। বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই যে বেশির ভাগ মানুষই বলছেন ছোটবেলা এরকম বৃষ্টি তাঁরা দেখেননি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, জল জমে গিয়েছে সর্বত্রই। এমনকি, শোচনীয় অবস্থা পুজো মণ্ডপ গুলিরও।
2
9
একটানা বৃষ্টিতে জল জমে গিয়েছে শহরের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতেও। ইতিমধ্যেই একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে হু হু করে জল ঢুকছে হাসপাতালে। আউটডোর থেকে শুরু করে গোটা হাসপাতাল চত্বর জুড়ে জলের ছবি।
3
9
এদিন শহর জুড়ে যান চলাচল ব্যাহত। যাদের হাসপাতালে যাওয়ার কথা তারা কোনওরকমে জল ঠেঙিয়ে হাসপাতালে পৌঁছলেও সেখানকার অবস্থা আরও শোচনীয়। এই প্রতিবেদনে সেই ছবিই দেখাব আপনাদের।
4
9
কোমর পর্যন্ত জলে ডুবে গিয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং থেকে শুরু করে আউটডোর বিভাগের বাইরেও জল জমে। বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই বেশি এবং রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষও। তবে পরিষেবা সম্পূর্ণ ভাবে চালু রয়েছে।
5
9
একই ছবি পিজি অর্থাৎ এসএসকেএম হাসপাতালেও। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে মধ্য কলকাতার অবস্থা এমনিই খারাপ। পিজি হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ভিতর জল ঢুকে গিয়েছে। হাসপাতালের বাইরেও জল জমে গিয়েছে। বাইক, সাইকেল থেকে শুরু করে পার্ক করা যানবাহন ডুবে গিয়েছে জলে। তার মধ্যেই কাজ জারি রেখেছেন চিকিৎসকরা। এমার্জেন্সি বিভাগও পুরোপুরি তৎপর রয়েছে।
6
9
মণিপাল হাসপাতালের ছবি আরও শোচনীয়। সিঁড়ি দিয়ে হু হু করে জল নামার ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই বেশি যে কোনওভাবেই জল আটকানো যাচ্ছে না। তবে পরিষেবা স্বাভাবিক থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
7
9
বাইপাসের ধারে আর এক বেসরকারি হাসপাতাল পিয়ারলেসেও একই অবস্থা। সেই ছবি আরও ভয়ঙ্কর। দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের ভিতর হু হু করে জল ঢুকছে। ওয়ার্ড বয়রা কোনওরকমে দরজা বন্ধ করে জল আটকানোর চেষ্টা করছেন। যদিও তাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না জলের তোড় এতটাই বেশি।
8
9
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ওয়ার্ডের ভিতরেও হাঁটুজল। রোগীদের বেডের পায়ার প্রায় পুরোটাই জলের তলায় ডুবে। জলে ভাসছে ডিজিটাল এক্স রে রুম। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে এমআরআই রুমও জলের তলায় ডুবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে কার্যত হাঁটুজল ঠেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে সবাইকে।
9
9
সোমবার সারারাতের বৃষ্টিতে কলকাতা সহ শহরতলি জলের তলায়। ইতিমধ্যেই, প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরোনোর। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আগাম পুজোর ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছেন।