আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের জনসংখ্যা ১৫০ কোটি ছুঁই ছুঁই। তবু যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার অভাব সর্বত্র। তাই বীর্যপাত ঠিকঠাক হল কি হল না, তাও বুঝতে পারেন না অনেকে। অথচ কম বীর্যপাত হওয়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
2
15
১। বীর্য আসলে কী? বীর্য পুরুষ প্রজননতন্ত্রের একটি জৈবিক তরল। এটি দেখতে সাদা বা ঈষৎ ধূসর রঙের হয়। যৌন উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে পুরুষাঙ্গ থেকে বীর্য নির্গত হয়, এই প্রক্রিয়াকে বীর্যস্খলন বলা হয়।
3
15
২। বীর্যের প্রধান কাজ শুক্রাণুকে স্ত্রী জননতন্ত্রে ডিম্বাণুর কাছে পৌঁছে দেওয়া, যাতে নিষেক ঘটতে পারে এবং নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয়।
4
15
৩। বীর্যের মূল উপাদানগুলো হল- শুক্রাণু (এটি পুরুষ জননকোষ, যা ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার ক্ষমতা রাখে) শুক্ররস, সেমিনাল ভেসিকল থেকে আসা তরল, ফ্রুক্টোজ, প্রোস্টাগ্লান্ডিন এবং অন্যান্য উপাদান।
5
15
৪। এছাড়াও প্রোস্টেট থেকে আসা তরল এবং বাল্বোরেথ্রাল গ্রন্থি থেকে আসা তরল বীর্যস্খলনের আগে নিঃসৃত হয় এবং মূত্রনালীকে পিচ্ছিল করে তোলে।
6
15
৫। সংক্ষেপে, বীর্য হল শুক্রাণু বহনকারী একটি তরল যা প্রজনন প্রক্রিয়ার জন্য অত্যাবশ্যক। একবার বীর্যপাতে সাধারণত ১.৫ থেকে ৫.০ মিলিলিটার বীর্য বেরোনো স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। তবে এই পরিমাণ ব্যক্তিভেদে এবং কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
7
15
৬। বীর্যের পরিমাণ কমে যাওয়া বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। আবার অনেক সময় বারবার বীর্যস্খলন করলেও বীর্যের পরিমাণ কম হতে পারে।
8
15
৭। টেস্টোস্টেরনের অভাব: শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে বীর্যের উৎপাদন এবং গুণগত মান দুটোই হ্রাস পেতে পারে।
9
15
৮। ভারিকোসিল: এটি অণ্ডকোষের শিরাগুলির অস্বাভাবিক স্ফীতি, যা অণ্ডকোষের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে এবং বীর্যের পরিমাণ কমাতে পারে।
10
15
৯। সংক্রমণ: প্রোস্টেট গ্রন্থি, এপিডিডাইমিস (অণ্ডকোষের পিছনে থাকা নল যেখানে শুক্রাণু জমা হয়) বা মূত্রনালীর সংক্রমণ বীর্যের উৎপাদন এবং নিঃসরণকে প্রভাবিত করতে পারে। গনোরিয়া বা ক্ল্যামিডিয়ার মতো যৌন সংক্রামক রোগও এর কারণ হতে পারে।
11
15
১০। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন: এই অবস্থায় বীর্য পুরুষাঙ্গের বাইরে না এসে মূত্রাশয়ের দিকে চলে যায়। ডায়াবেটিস, স্নায়ুর ক্ষতি, বা কিছু ওষুধ-এর প্রভাবে এমন হতে পারে।
12
15
১১। সম্পূর্ণ বীর্যস্খলন না হওয়া: কিছু স্নায়বিক সমস্যা বা অস্ত্রোপচারের কারণে বীর্য একেবারেই বের হতে পারে না।
13
15
১২। প্রজনন নালীর বাধা: এপিডিডাইমিস বা ভ্যাস ডিফারেন্সে কোনও বাধা থাকলে শুক্রাণু বীর্যের সঙ্গে মিশতে পারে না, ফলে বীর্যের পরিমাণ কমে যায়। সংক্রমণ বা জন্মগত ত্রুটির কারণে এটি হতে পারে।
14
15
১৩। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, জেনেটিক বা জন্মগত ত্রুটি, ডায়াবেটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং কিছু অটোইমিউন রোগও বীর্যের পরিমাণে প্রভাব ফেলতে পারে।
15
15
১৪। যদি মনে করেন আপনার বীর্যের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম, তবে একজন ইউরোলজিস্ট বা প্রজনন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। তাঁরা সঠিক রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন।