আজ ৫১-এ পা দিলেন বিশ্বখ্যাত হলিউড তারকা লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও। গত তিন দশকে পর্দায় তাঁর যে রূপান্তর, তা শুধু অভিনয় নয়, এ যেন সিনেমারই এক অধ্যায়। প্রেমিক থেকে প্রতারক, যোদ্ধা থেকে মানসিক জটিলতায় ভোগা মানুষ-প্রতিটি চরিত্রে লিও নিজের ছাপ রেখে গেছেন এক অনন্য দাগে। জন্মদিনের এই বিশেষ দিনে দেখে নেওয়া যাক, তাঁর কেরিয়ারের সেই কিছু অভিনয় যা না দেখলে সত্যিই বঞ্চিত হবেন।
2
10
দ্য রেভেন্যান্ট (২০১৫): বরফঢাকা মৃত্যুভূমিতে বেঁচে থাকার লড়াই। হিউ গ্লাস চরিত্রে তাঁর কাঁচা, প্রায় নিষ্ঠুর অভিনয়ই এনে দেয় প্রথম অস্কার। ডিক্যাপ্রিওর তীব্রতা আর শরীরী ভাষা এই ছবিকে করেছে এক বাস্তবিক দুঃস্বপ্নের মতো।
3
10
ইনসেপশন (২০১০): অস্কারজয়ী পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের সায়েন্স থ্রিলার-স্বপ্নের ভিতর আরেক স্বপ্নের জটিল খেলা। এক ‘ড্রিম থিফ’-এর ভূমিকায় ডিক্যাপ্রিও কেবল মস্তিষ্ক নয়, হৃদয়ও জয় করেন।
4
10
টাইটানিক (১৯৯৭): এই একটি ছবিই তাঁকে বানিয়ে দেয় বিশ্বজোড়া রোমান্টিক আইকন। জ্যাক ডসনের মায়াবী হাসি, প্রেম, আর করুণ পরিণতি-সব মিলিয়ে টাইটানিক আজও এক আবেগের নাম।
5
10
দ্য উল্ফ অফ ওয়াল স্ট্রিট (২০১৩): জর্ডান বেলফোর্টের চরিত্রে উন্মাদনা, হাস্যরস আর ব্যঙ্গ। ডিক্যাপ্রিওর অভিনয় এখানে এক চলমান বিদ্যুৎ!
6
10
ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান (২০০২): প্রতারক ফ্র্যাঙ্ক অ্যাবাগনেল জুনিয়র। বুদ্ধি, স্টাইল আর সংবেদনায় ভরা চরিত্র। ছবিতে টম হ্যাঙ্কসের সঙ্গে লিও-র টক্কর থেকে রসায়ন- এককথায় অসাধারণ।
7
10
শাটার আইল্যান্ড (২০১০): মনস্তাত্ত্বিক রহস্যে মোড়া এক দ্বীপ। ডিক্যাপ্রিওর প্রতিটি অভিব্যক্তি দর্শককে বিভ্রান্ত ও কৌতূহলী রাখে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
8
10
ব্লাড ডায়মন্ড (২০০৬): আফ্রিকার গৃহযুদ্ধের পটভূমিতে এক ভাড়াটে সৈনিকের বিবেকজাগরণের কাহিনি। উচ্চারণ, কণ্ঠস্বর, দৃঢ়তা-সব দিকেই তিনি নিখুঁত।
9
10
গ্যাংস অফ নিউ ইয়র্ক (২০০২): ১৯ শতকের নিউ ইয়র্কে প্রতিশোধের গল্প। ড্যানিয়েল ডে-লুইসের বিপরীতে ডিক্যাপ্রিওর উপস্থিতি ছিল সমান তেজস্বী।
10
10
ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড (২০১৯): কোয়েন্টিন ট্যারান্টিনোর এই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন রিক ডালটন নামে এক ব্যর্থ অভিনেতার ভূমিকায়। নস্টালজিয়া, অনিশ্চয়তা আর কোমলতার নিখুঁত মিশেল।