আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপার ডুপার হিট ছবির কথা উঠলেই সচরাচর মাথায় আসে বড় কোনও তারকার কথাও। কিন্তু তেমন কোনও বড় তারকা না থাকা সত্ত্বেও একটি ছবি দোলা দিয়েছিল আসমুদ্রহিমাচলের সিনেপ্রেমীদের মনে।
2
10
সাল ১৯৮৫। মাত্র ২০ লক্ষ টাকা বাজেটে তৈরি হল একটি ছবি, যায় অধিকাংশ অংশই জঙ্গলে শুট করা। কিন্তু সেই অল্প বাজেটের ছবিই সেবছর পর্দা কাঁপিয়ে দিয়েছিল। ছবির নাম অ্যাডভেঞ্চার অফ টারজান।
3
10
ছবির পরিচালক ছিলেন বব্বর সুভাষ। সুরকার বাপ্পি লাহিড়ি। কিন্তু মূল আকর্ষণ ছিলেন নায়িকা কিমি কাটকর। পর্দায়, ভারতীয় টারজান হেমন্ত বিরজের বিপরীতে কিমির লাস্যময়ী রূপ নজর কেড়েছিল অনুরাগীদের।
4
10
সময়ের নিরিখে ছবিটিকে অনেকেই ‘সাহসী’ তকমা দিয়েছিলেন। ১৩৫ মিনিটের ছবিতে জঙ্গলের ভিতর কিমি এবং হেমন্তের উদ্দাম রোম্যান্স দেখে কিমিকে ভারতের ‘সেক্স সাইরেন’ বলতে শুরু করে তৎকালীন বিনোদন জগত।
5
10
ছবি দেখার উৎসাহ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, সিনেমা হলের জানালা পর্যন্ত ভেঙে ফেলার খবর মেলে। সেই সময় ছবিটির সরকারি আয় ছিল ৩ কোটি টাকারও বেশি। যদিও বিনোদন দুনিয়ায় কান পাতলেই শোনা যায়, আসল আয় ছিল তার কয়েক গুণ।
6
10
ছবিতে কিমি কাটকারকে স্বচ্ছ এবং ভেজা পোশাকে দেখা যায়। অভিনেত্রীর এই অবতারকে অনেকেই রাম তেরি গঙ্গা মইলির মন্দাকিনীর সঙ্গে তুলনা করেন।
7
10
গোটা ছবিতেই অসংখ্য ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে সাবলীল অভিনয় করেন কিমি এবং হেমন্ত।
8
10
সবচেয়ে আলোচিত অংশ ছিল একটি দু’মিনিটের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। সেখানে টানা দুই মিনিট ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয় মুখ্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীকে।
9
10
মুখ্যধারার ছবিতে এই ছবিটিকেই বলিউডের সবচেয়ে সাহসী ছবি বলে মনে করেন অনেকে। ছবির পরই রাতারাতি তারকা বনে যান কিমি।
10
10
অনিল কাপুর থেকে অমিতাভ বচ্চন, আবেদনময়ী কিমির সঙ্গে নাম জড়ায় অনেক তারকার। তবে অল্প কিছুদিন পরেই বলিউডকে বিদায় জানান তিনি। ছবিটি অবশ্য এখনও ইউটিউবে দেখা যায়।
