চিকিৎসকেদের মতে, প্রত্যেক লিভারেই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চর্বি থাকে। সেই চর্বি মাত্রাতিরিক্ত জমে গেলে, তখন তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাটি লিভারের অসুখ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, মদ্যপান করলেই শুধুমাত্র এই অসুখ হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারেই সত্যি নয়।
2
6
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। আর এই রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে লিভার সিরোসিসের মতো মারণ ব্যাধি। রোজের খাদ্যাতালিকায় কয়েকটি খাবার রাখলেই এড়াতে পারবেন লিভারের সমস্যা।
3
6
রসুনঃ রসুনের গুণের শেষ নেই। খাদ্যতালিকায় কাঁচা রসুন যোগ করলে খাবার সহজে হজম হয় । বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যও রক্ষা করে। রসুন কুঁচি করে জলের সঙ্গে খেতে পারেন অথবা খাবারে যোগ করলেই উপকার পাবেন। রসুন লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
4
6
লেবুঃ লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। লেবুর রস লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১টি লেবু খেলে লিভার ভাল থাকবে। খাবারের সঙ্গে অথবা জলে যোগ করে লেবুর রস খেতে পারেন। সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ বাড়াতেও লেবু কার্যকরী। শরীরের অবাঞ্ছিত মেদ ঝরাতে লেবুর কোনও তুলনা হয় না। লেবু একটু উষ্ণ গরম পানির সঙ্গে পান করলেই একসঙ্গে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব।
5
6
টমেটোঃ রোজকার হাতের কাছে যে সব সবজি পাওয়া যা তার মধ্যে অন্যতম টমেটো। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে যা লিভারের জন্য ভাল। স্যালাডে কিংবা স্যুপ অথবা তরকারিতে যোগ করে টমেটো খেতে পারেন। রান্না করা টমেটো বা টমেটো স্যুপ—যেভাবেই খান, উপকার পাবেনই। ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ দেয় এই লাল সবজি। কোষের ক্ষতি রুখে দিয়ে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিও রোধ করে টমেটো। এর লাইকোপেন উপাদান ক্যানসারের কোষকে বাড়তে দেয় না।
6
6
ওটসঃ আজকাল সকালের জলখাবারে অনেকেই ওটস খেয়ে থাকেন। ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা লিভারের পক্ষে হজম করা সহজ। ওটস গুঁড়ো করে রুটি বা চিলা কিংবা দুধ, দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। শুধু লিভার নয়, ওটসের দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে দারুণ কাজে আসে। নিয়মিত ওটস খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়, যা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। এর পাশাপাশি রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।