পর্দায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে না থাকলেও, ২০০০-এর দশকের অন্যতম গ্ল্যামার কুইন বিপাশা বসু এখনও অগণিত ভক্তের মনে রয়ে গেছেন। ‘রাজ’, ‘জিসম’–এর মতো হরর ও ইরোটিক থ্রিলার থেকে শুরু করে ‘নো এন্ট্রি’, ‘ধুম ২’–এর মতো ব্লকবাস্টার—প্রায় সব ঘরানার ছবিতেই সাফল্যের ছাপ রেখেছেন তিনি। অন্যদিকে, প্রয়াত অমর সিং ছিলেন সমসাময়িক ভারতীয় রাজনীতির প্রভাবশালী ও বিতর্কিত এক নাম। সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতাদের অন্যতম, যিনি রাজনৈতিক কূটচালে ছিলেন সিদ্ধহস্ত।
২০১১ সালে হঠাৎ করেই একটি টেলিফোন আলাপচারিতার রেকর্ডিং প্রকাশ্যে আসে, যা নাকি কয়েক বছর আগেই রেকর্ড করা হয়েছিল। কথিত ছিল—কলের দুই প্রান্তে ছিলেন বিপাশা বসু ও অমর সিং! মুহূর্তেই এই অডিও ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে, রাজনীতি ও বিনোদন—দুই দুনিয়ায়ই শোরগোল পড়ে যায়।

সেই অডিওটিতে শোনা গিয়েছিল, দু’পক্ষের মধ্যে হালকা-ফুলকা খুনসুটি ও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। বিপাশাকে নাকি বলতে শোনা যায়—“বয়স কোনও ব্যাপার না।” এর উত্তরে সিংয়ের মন্তব্য—“বয়স শুধু দু’পায়ের মাঝখানে ব্যাপার করে।” ইঙ্গিত সহজ। বয়স নির্ভর করে যৌনক্ষমতার ওপর!
তখনও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ আসেনি, কিন্তু রেকর্ডিংটি বিদ্যুৎবেগে ছড়িয়ে পড়ে নানান ওয়েবসাইটে। জনতামহলে শুরু হয় চর্চা—শুধু দু’জনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েই নয়, বরং গণমাধ্যম ও জনতার অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ নিয়েও।
বিপাশা বসু ও অমর সিং—দু’জনেই এই কলের সত্যতা অস্বীকার করেন। একে ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে দাবি করে ধীরে ধীরে তাঁরা বিতর্কের বাইরে চলে আসেন। তবে কেলেঙ্কারিটি বলিউড–রাজনীতি সংযোগের এক কুখ্যাত উদাহরণ হয়ে থেকে যায়।
২০২০ সালের ২ আগস্ট সিঙ্গাপুর থেকে খবর এসেছিল, সেখানকার হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিংহ (৬৪)। গত কয়েক বছর ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন তিনি।ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম বর্ণময় চরিত্র অমর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন কলকাতায়। তৎকালীন কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অধীনে কংগ্রেসে ছাত্র সংগঠনের নেতা ছিলেন তিনি। পরে দিল্লি এসে যোগ দেন সমাজবাদী পার্টিতে। সেই সুবাদে অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর পরিবারের খুবই কাছের লোক হয়ে উঠেছিলেন। ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল অনিল অম্বানীর সঙ্গেও। যদিও পরে দলের মধ্যে জয়া বচ্চনের সঙ্গে ঝামেলার কারণে বচ্চন পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় অমরের। ভেঙে যায় অনিলের সঙ্গে বন্ধুত্বও।
