বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া তাঁরই দখলে। চর্চায় থাকে তাঁর সমস্ত পোশাকের কেরামতি। তিনি উরফি জাভেদ। বলা হয়, তিনি নাকি ইতিমধ্যেই কার্যত সবকিছু দিয়েই পোশাক তৈরি করে পরে ফেলেছেন। ব্লেড থেকে শুরু করে নিজের ছবি দিয়ে তৈরি পোশাক নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। কখনও তাঁর গলা থেকে থাকে জিনস, কখনও আবার শরীরে পোশাক বলতে কার্যত কিছুই থাকে না, কয়েক টুকরো আবরণ ছাড়া। 

 

 

 

তাঁর কেরিয়ারে একটা সময় এমন গিয়েছে, যখন একের পর এক শো থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে অথবা, তাঁকে নিয়ে শুরু হওয়া শো বন্ধই হয়ে গিয়েছে মাঝপথে। কিন্তু এখন তাঁর ডাক পড়ে বিভিন্ন শোয়ের অতিথি হিসেবে। চর্চায় থাকতে বরাবরই ভালবাসেন উরফি। তাঁকে নিত্য নতুন অবতারে দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকেন অনুরাগীরাও। 

 

আরও পড়ুন: 'কিং'-এর শুটিং ফ্লোরে আহত হননি শাহরুখ! তবে কী কারণে বিদেশে ছুটলেন? গুজবে তোলপাড় নেটপাড়া

 

তবে এই মুহূর্তে উরফি জাভেদের চেহারা দেখলে চমকে যাবেন। চোখ-মুখ ফুলে ঢোল। অ্যালার্জিতে মুখের মানচিত্রটাই বদলে গিয়েছে। ইনস্টা স্টোরিতে ছবি পোস্ট করে নিজেই সমস্যার কথা জানিয়েছেন উরফি। চিকিৎসকের খোঁজ করছেন অভিনেত্রী। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'এই পৃথিবীতে এমন কোনও চিকিৎসক আছেন যিনি আমাকে এই অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দিতে পারবেন? প্রতিদিন সকালে আমার মুখ এভাবে ফুলে যায়। মানুষ এই ফোলাভাব দেকে ভাবে ফিলার, বোটক্স বা কোনও সার্জারি। জিমে যাওয়ার আগে পর্যন্ত চোখ পুরো লাল ছিল।' 

 

তাঁর এই ছবি, ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের গোড়াতে ঠিক এইরকম অ্যালার্জির সমস্যায় মারাত্মক ভুগেছিলেন। তখনও নিজেই ছবি পোস্ট করে যন্ত্রণার কথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। উল্লেখ্য, বরাবরই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন উরফি। তাই এবার এই যন্ত্রণা চিরতরে নির্মূল করতে পারে এমন চিকিৎসকের খোঁজ করছেন অভিনেত্রী।

 

 

 

তবে এখানেই শেষ নয়। এবার একেবারে চোখ,মুখ ফুলে ঢোল তাঁর! ঠোঁট ফুলে এমন অবস্থা যে তাঁর সঙ্গে বাঁদরের তুলনা করছেন নেটিজেনরা। সম্প্রতি, একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন উরফি জাভেদ। যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি একটি ক্লিনিকে বসে আর তাঁর ঠোঁটে চলছে একের পর এক ইনজেকশন! ঠোঁট ফুলে একেবারে ঢোল! মুখের ভোলবদলের সেই মুহূর্তও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন উরফি। সেই সঙ্গে দিয়েছেন একটি বিশেষ পরামর্শও। 

 

 

 

ভিডিও পোস্ট করে উরফি জানাচ্ছেন, 'এটা কোনও ফিল্টার নয়। আমি আগে যে ফিলারগুলো করিয়েছি সেগুলো ভুল জায়গায় করানো হয়েছিল। তাই এবার স্বাভাবিক নিয়মে প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন করে সঠিক স্থানে প্রতস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ফিলার্সের বিপক্ষে নই। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি কখনই করা উচিত নয়। চারপাশে বহু ক্লিনিক আছে, চিকিৎসক আছেন কিন্তু, তাঁরা সঠিক পদ্ধতি জানেন না। তবে আমি একজন ভাল চিকিৎসকের সন্ধান পেয়েছি।' 

 

 

 

ব্যাস! উরফির চেহারার এই হাল দেখে কটাক্ষের ঝড় ধেয়ে এসেছে তাঁর দিকে। একের পর এক কুমন্তব্যে জর্জরিত উরফি। তবে কেউ কেউ আবার তাঁর যন্ত্রণা বুঝতে পেরে তাঁর ধৈর্য শক্তির প্রশংসা করেছেন। কেউ আবার উরফিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে কসমেটিকস সার্জারিতে নিজেকে বদলাতে বারণ করেছেন। সব মিলিয়ে আবারও জোর চর্চা উরফিকে নিয়ে।