শুরু থেকেই টিআরপি তালিকায় বেশ পাকাপোক্ত জায়গা ধরে নিয়েছে জি বাংলার ধারাবাহিক 'চিরদিনই তুমি যে আমার'। 'অপু-আর্য'র কেমিস্ট্রি মন কাড়ছে দর্শকের। গল্পে একটু একটু করে অপুকে ভালবেসে ফেলে আর্য। বাস্তবে নায়ক-নায়িকা অর্থাৎ জিতু-দিতিপ্রিয়ার সম্পর্কের টানাপোড়েন যতই থাকুক না কেন, ধারাবাহিকে তার প্রভাব মোটেই পড়ে না।

 

 

এদিকে, ধীরে ধীরে পূর্বজন্মের স্মৃতি ফিরে আসছে অপর্ণার। মাঝেমধ্যেই এমন অনেককিছু চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার, যার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পায় না অপু। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে আসা নতুন প্রোমোয় দেখা গেল গল্পের নতুন মোড়। সিংহ রায় বাড়িতে আবারও আসে অপু। জন্মাষ্টমী পুজোর জন্য আর্য তাকে আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু বাড়ির চৌকাঠে পা দিতেই কেমন যেন সবকিছু চেনা লাগতে শুরু করে অপুর। এদিকে, আর্যর মা আর্যকে দিয়ে গোপাল প্রতিষ্ঠা করাতে যায়। গোপালের মূর্তি দেখে একপ্রকার চমকে ওঠে অপু। তার বারবার মনে হতে থাকে, এই মূর্তি সে আগেও কোথাও দেখেছে। অপুর মুখে এই কথা শুনে বেখেয়ালে গোপাল মূর্তি আর্যর হাত ফসকে যায়। তখনই ছুটে এসে অপু মূর্তিটি ধরে নেয়। 

 

এদিকে, বাড়িতে অপুর পা পড়ার পর থেকে বহু বছর ধরে বন্ধ একটি ঘরের দরজা আচমকা খুলে যায়। এই ঘটনা থেকে রীতিমতো অবাক আর্যর মা। তার মনেও এতক্ষণে সন্দেহ কাজ করছে, যে কেন এমনটা ঘটছে তাদের সঙ্গে? অপুর সঙ্গে কি সম্পর্ক তাদের? 

 

তবে কি অপুই পূর্বজন্মের রাজনন্দিনী? আর আর্য ভিলেন? আসলে মারাঠি ধারাবাহিকের অনুকরণে তৈরি এই গল্প। ওই ধারাবাহিক অনুসারে গল্পের মোড়ে এমনটাই হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী এবার কোন খাতে বইবে অপু-আর্যর জীবন? তা তো সময়ই বলবে। 

 

আরও পড়ুন: কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শত নাম জপলেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়, জন্মাষ্টমীতে কোন বড় চমক দিলেন অভিনেতা?


কিছুদিন আগে ধারাবাহিকে দেখা যায় এক বৃষ্টির রাতে অপুর সঙ্গে দেখা হয় আর্যর। তখন অপু তাকে এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু আর্য কথা দেয় যে, সে অপুকে এবার সব সত্যিটা বলে দেবে। রাজনন্দিনীর কথা জানতে চায় অপু। আর্য জানায়, সে তাঁর স্ত্রী! এই কথা শুনে অপু, আর্যকে বলে যে এতদিন কেন সে এই সত্যিটা চেপে ছিল? কেন তাকে জানতে দেয়নি যে সে বিবাহিত? কিন্তু আর্য বলে, সে বিবাহিত ছিল। এখন আর নেই। তাহলে এখন কোথায় রাজনন্দিনী? অপুর এই প্রশ্নের উত্তর আর দিতে পারে না আর্য। 

 


অপুকে সবটা বলে ফিরে আসছিল আর্য। আনমনা হয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে অ্যাক্সিডেন্ট ঘটিয়ে ফেলে সে। মাথায় চোটও লাগে তার। যদিও খানিকটা সুস্থ হতেই ফের বিপাকে পড়ে সে। জানতে পারে অপর্ণা নিখোঁজ। হাসপাতাল থেকেই ছোটে সে অপর্ণাকে খুঁজতে। আর্যর মা, তাকে আশ্বাস দেয় যে সেই একমাত্র পারবে অপুকে ফিরিয়ে আনতে। আর্য সঠিক সময়ে পৌঁছে যায় অপুর কাছে এবং তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করে। কিন্তু এখনও আর্যর উপর অভিমান করে আছে সে। কীভাবে এই অভিমানের বরফ গলবে? সেই গল্পই দেখাবে মেগার আগামী পর্বে। 

 

অন্যদিকে, নেটিজেনরা আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন। এখন সমাজমাধ্যমে চর্চা চলছে কবে আর্য-অপর্ণার বিয়ে হবে? ২০০ পর্ব তো পেরিয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিকের। তাহলে এখনও কেন বিয়ের দৃশ্য দেখানো হচ্ছে না? এই প্রশ্ন উঠে আসছে সিরিয়ালপ্রেমীদের মনে।