প্রায় এক যুগ পরে ফের পাশাপাশি দেব এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। জায়গা, দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চ। কারণ, তাঁদের অভিনীত আপাত শেষ ছবি ‘ধূমকেতু’ ছবির মুক্তি পাওয়া বা প্রচার ঝলক অনুষ্ঠান। আর গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকল এই জুটির অনুরাগীদের থিকথিকে ভিড়। এবং অবশ্যই সমাজমাধ্যমে অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার দেখতে থাকা দর্শক। সকাল থেকেই নজরুল মঞ্চের বাইরে রাস্তা ছিল ভিড়ে ঠাসা। প্রেক্ষাগৃহের দরজা খুলে দিতেই এক লহমায় তা ভর্তি হয়ে যায় দর্শকে। এরপর প্রেক্ষাগৃহে আলাদাভাবে ঢুকলেও মঞ্চে একসঙ্গে হাজির হন দেব-শুভশ্রী। চারিদিকে শুধুই চিৎকার। এরপর গান, খুনসুটি চলার পাশাপাশি শুরু হয় ‘ধূমকেতু’ নিয়ে কথা। এবং অবশ্যই পরস্পরকে নিয়েও। সেসব মুহূর্তের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানালেন তাঁর নিজেরও পুরনো প্রেম মনে পড়ে যাচ্ছে। সেইজন্য স্পষ্টভাবে লিখলেন, “আহা! আমারও পুরনো প্রেম মনে পড়ে যাচ্ছে তো...” 

 

কুণাল ঘোষের এই পোস্ট নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে। নেটিজেনরা যে বেশ মজা পেয়েছেন তৃণমূল নেতার পোস্ট দেখে তা পোস্টের বার্তা বাক্সের দিকে এক ঝলক তাকালেই স্পষ্ট  .কেউ লিখলেন, “মনে পড়ছে পড়ুক, কিন্তু জড়াতে যাবেন না ।” আবার কেউ বা লিখলেন, “পুরুষ যাই হোক প্রথম প্রেম ভুলতে পারে না!”, তবে নজর কেড়েছে এক রসিক নেটপাড়ার বাসিন্দার কমেন্ট -

“সাহস থাকলে প্রকাশ্যে নিজের এক্সের সঙ্গে একটা ছবি এখানে আপলোড করুন.......
তাহলেই ভাববো আপনি হোম মিনিস্টারকে ভয় করেন না.....
সময় এসেছে আপনি বীরপুরুষ না কাপুরুষ সেটা প্রমাণ করার...
এ দাবি জনতার দাবি......”

 


১০ বছরের সব দূরত্ব মিটিয়ে ঠিক যেন আগের মতো দেব-শুভশ্রী। প্রথমবার দেখা হওয়ার পর শুভশ্রীকে অকপটে দেব জিজ্ঞাসা করলেন, কেন 'ধূমকেতু' ও দেবের নাম শুনে হাসি কমে যায় শুভশ্রীর মুখে? শুভশ্রীর সপাট জবাব, সবাই দেখেছেন কিন্তু দেব আসলে সেই হাসি দেখতে পাননি। এরপর সরাসরি আনব্লক করার কথা উঠলে শুভশ্রী বলে দেন তিনি প্রথম ব্লক করেননি, তবে শুধু মুখেই নয় নিজের ফোন চেক করে তা প্রমাণ করে দেন, দেবও অবশ্য দেখান তিনি আবার ফলো করা শুরু করলেন শুভশ্রীকে। এরপর অনুরাগীদের আবদারে একসঙ্গে সেলফিও তুললেন। অনেকেই ভেবেছিলেন ছবির প্রচারের জন্যই এত কিছু, তবে ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানের শেষে নতুন স্টোরি দেব ও শুভশ্রীর। শুভশ্রীর তোলা সেলফি দু'জনেই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টোরিতে পোস্ট করলেন, মাত্র এক মিনিটের ব্যবধানে দেব এবং শুভশ্রী এই পোস্ট করেন। অদ্ভুতভাবে সময় মিলে যাওয়ার পাশাপাশি মিলে গেল স্টোরির ক্যাপশন। শুভশ্রী সেই ছবি পোস্ট করে লেখেন ‘এমনি’। সঙ্গে আবার 'হুমম' লেখেন দেবও। মঞ্চে উঠেই প্রথমে দেবকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেন শুভশ্রী। দেব কারণ জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন ‘এমনি’। ঠিক যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে 'চ্যালেঞ্জ' ছবির সেই রোমান্টিক দৃশ্য। 

 

এই অনুষ্ঠানেই প্রথমবার সামনাসামনি একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেব ও শুভশ্রী। একে অপরের জন্য গাইলেন গান। এই ছবি বোধহয় অনেকটা দূরত্ব মিটিয়ে দিল, অপেক্ষার ফল আসলে কতটা ভাল হতে পারে তা প্রমাণ করে দিলে ‘ধূমকেতু’। 

 

আর সব মিলিয়ে যেন স্পষ্ট একটাই কথা—দশ বছরের দূরত্বকে পেছনে ফেলে এক অন্য রকম রিইউনিয়নের সাক্ষী থাকল বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। দেব-শুভশ্রী এবার শুধু ট্রেলারে নয়, বাস্তবেও দেখালেন, সত্যিই 'ধূমকেতু' আসলে প্রত্যাবর্তনের নাম!