প্রয়াত সঞ্জয় কাপুরের বোন মন্দিরা সাম্প্রতিক এক কথোপকথনে পরিবারের আইনি লড়াই এবং মানসিক অস্থিরতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। জুন মাসে সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর থেকে পরিবার যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি কথা বলেন। পাশাপাশি করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে সঞ্জয়ের বিবাহিত জীবনে তিনি নাকি খারাপ ব্যবহার করেছিলেন—এমন অভিযোগও সরাসরি অস্বীকার করেন। 

মন্দিরা বলেন, “ও (সঞ্জয়) লোলোর (করিশ্মার ডাক নাম) সঙ্গে খারাপভাবে ব্যবহার করেনি। হ্যাঁ, তাদের ডিভোর্সটা খারাপ ছিল—সব ডিভোর্সই খারাপ। তাই দয়া করে সত্যি না জেনে কথা ছড়িয়ে মানুষকে ছোট করবেন না। ওর সন্তান, প্রাক্তন স্ত্রী, মা বা বোনদের নিয়ে নোংরা মন্তব্য বন্ধ করুন। অন্যের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে দেখুন—সমালোচনা করা সহজ, কিন্তু সত্যের পাশে দাঁড়ানো খুব কঠিন।”

সঞ্জয় সম্পর্কে নানা জল্পনা–কল্পনারও জবাব দিয়েছেন মন্দিরা। তিনি বলেন, “মানুষ লিখছে—‘সঞ্জয় নারীঘেঁষা ছিল।’ প্রথমত, সে আর নেই—তাকে সম্মান দিন। দ্বিতীয়ত, সবাই জানত সে কেমন ছিল, প্রিয়া নিজেও জানত। ও কখনওই নিজের ব্যাপারে কিছু লুকোয়নি।”

সঞ্জয়ের মৃত্যু–পরবর্তী সম্পত্তি বণ্টন নিয়েও বিরোধ দেখা দিয়েছে। মন্দিরা জানান, প্রিয়া সচদেবের আগের বিয়ে থেকে হওয়া কন্যার পরিবারের উপর দাবি করিশ্মা কাপুরের সন্তান সামাইরা এবং কিয়ানে মতো হবে না। মন্দিরার কথায়, “ও সবসময়ই সৎ সন্তান হিসাবেই থাকবে। আমরা পরিবারের সদস্যের মতো ভালবাসতাম, কিন্তু পরিবারের উপর আধিপত্য ফলাতে দেওয়া যায় না যখন সামাইরা রয়েছে।” 

মন্দিরা আরও জানান, তাঁদের বাবা সারা জীবন পরিবারের জন্য পরিশ্রম করেছেন। তিনি বলেন, “আমার বাবা কখনওই প্রিয়াকে পরিবারের অংশ হিসাবে চাননি। তাঁর সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা হলে আমি শেষ পর্যন্ত লড়ব।”

মন্দিরা স্বীকার করেন, সঞ্জয় এবং প্রিয়ার বিয়েতে সম্মতি দেওয়ায় এখন তাঁর অনুশোচনা রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “বিয়ের আগে যে চরিত্রটা ও দেখিয়েছিল, বিয়ের পর পুরো বদলে যায়। আমিই বাবাকে বলেছিলাম—‘যদি ওরা খুশি থাকে, থাকতে দাও।’ এখন মনে হয়, আমি বোকামি করেছি।”

এখানেই শেষ নয়। মন্দিরা দাবি করেন, প্রিয়াই নাকি করিশ্মা–সঞ্জয়ের দাম্পত্য ভাঙার প্রধান কারণ। “লোলো যখন সঞ্জয়ের সঙ্গে ছিল, তখনই নাকি ও সঞ্জয়কে নিয়মিত মেসেজ পাঠাত। একজন নারী হয়ে কীভাবে অন্যের সংসার ভাঙতে পারে?” প্রশ্ন তোলেন তিনি।

সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর ৩০ হাজার কোটি টাকার উত্তরাধিকার মামলা এখনও আদালতে ঝুলে আছে। পরিবারগত বিরোধ এবং আর্থিক সিদ্ধান্ত—সবই এখন বিচারাধীন।