বলিউড অভিনেতা শ্রেয়াস তালপাড়ে এবং বর্ষীয়ান অভিনেতা অলোক নাথ একটি বড়সড় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে আইনি জটিলতায় জড়িয়েছেন। হরিয়ানার সোনিপথে একটি মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং স্কিমের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁদের সহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, অভিনেতারা এই স্কিমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন, যার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হয়েছেন।

 

 

জানা গিয়েছে, সোনিপথের বাসিন্দা বিপুল আন্টিল নামক জনৈক ব্যক্তি এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, 'হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড' নামক সংস্থাটি উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট এবং রেকারিং ডিপোজিট-এর মতো স্কিমে বিনিয়োগ করার জন্য মানুষকে আকৃষ্ট করত। 

 

 

অভিযোগকারী বলেছেন, শ্রেয়াস তালপাড়ে এবং অলোক নাথ এই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে প্রচার করেছিলেন, যার কারণে বহু মানুষ এই সংস্থাকে বিশ্বাস করে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করেন। প্রাথমিকভাবে, সংস্থাটি কিছু বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত রিটার্ন দিয়ে আস্থা অর্জন করেছিল। কিন্তু ২০২৩ সাল নাগাদ, ম্যাচুরিটি এবং রিটার্নের অর্থ প্রদান বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে। অভিযোগকারীরা যখন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তখন তাঁরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপ করতে থাকেন। অবশেষে, বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত না দিয়ে সংস্থার মালিকেরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 

আরও পড়ুন: খোরপোশ নিয়ে ধনশ্রীকে তোপ দাগলেন যুজবেন্দ্র, আমিরকে 'চালাক শেয়াল' বলে কটাক্ষ অভিনবের

 


সোনিপথের মুরথাল থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর অধীনে বিভিন্ন ধারায় এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ এবং জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি হস্তান্তরের মতো অভিযোগগুলি রয়েছে। মুরথালের সহকারী পুলিশ কমিশনার অজিত সিং জানিয়েছেন, মূল অভিযোগটি ওই কো-অপারেটিভ সোসাইটির বিরুদ্ধে, যারা মানুষকে বিনিয়োগের লোভ দেখিয়ে ঠকিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অভিযোগপত্রে দুই অভিনেতার নাম রয়েছে এবং এই ঘটনায় তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হবে।

 

 

সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত মামলায় অভিনেতা শ্রেয়াস তালপাড়ে এবং পরবর্তীতে অলোক নাথকেও গ্রেফতার থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা প্রদান করেছে। আদালত একইসঙ্গে হরিয়ানা পুলিশকে নোটিশ জারি করে তাঁদের জবাব তলব করেছে। অভিনেতারা এই প্রতারণার সঙ্গে সজ্ঞানে জড়িত ছিলেন নাকি শুধুমাত্র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন, তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে এই আইনি জটিলতা যে বলিউডের এই দুই পরিচিত মুখের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ, তা বলাই বাহুল্য।