বছরের শুরু থেকেই শিরোনামে রয়েছেন সইফ আলি খান। বিপদ পিছু ছাড়েনি সইফের। বাজেয়াপ্ত হয়েছে অভিনেতার ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি! ২০১৪ সালে রাজ্য সরকার অভিনেতার পৈতৃক সম্পত্তিগুলিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। এর অর্থ এই সম্পত্তিগুলি এখন বিদেশি সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হবে এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গত ২৫ বছর ধরে সইফ এই মামলা লড়ছিলেন। গত শুক্রবার তাঁর আবেদন খারিজ করেছে হাইকোর্ট। তবে এত বড় ঘটনার পর সইফের তরফে কোনও মন্তব্য অথবা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। এমনকী, ছবিশিকারিদের ক্যামেরার সামনে তাঁরা ধরা পর্যন্ত দেননি। কী করছেন তাঁরা, এইমুহূর্তে কোথায়-ই বা আছেন উঠেছে প্রশ্ন। এবার সে খবরই আপনাদের জানাচ্ছে একমাত্র আজকাল ডট ইন।
এইমুহূর্তে ছুটি কাটাচ্ছেন সইফ এবং করিনা। সঙ্গে রয়েছে তাঁদের দুই সন্তান তৈমুর এবং জেহ। এবং তাদের পরিচারিকা। তা কোথায় সামার হলিডে কাটাচ্ছেন পতৌদিরা? সুদূর গ্রিসে! আজ্ঞে হ্যাঁ। গ্রিসের অন্তর্গত ছোট্ট একটি দ্বীপ অ্যান্টিপারোস-এ দেখা গিয়েছে তাঁদের। সমুদ্র সৈকতের সামনে একটি রেস্তোরাঁয় জমিয়ে সি-ফুড খেতে দেখা গিয়েছে তাঁদের! শুধু তাই নয়, বেশ হাসিমুখে খোশগল্প করতেও দেখা গিয়েছে ‘সৈফিনা’-কে! শুধু তাই নয়, হাসিমুখে আলাপ করেছেন এক ভারতীয় অনুরাগীর সঙ্গেও। তবে অনুরাগীর আবদারে ছবি তোলার ব্যাপারে একটু সাবধান দেখিয়েছে তাঁকে। মোট কথা, ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে যে তীব্র সমস্যা চলছে তাতে যে এতটুকুও বিচলিত নন সইফ, তা তাঁর এই ব্যবহার থেকেই পরিষ্কার। এমনকী, আদালতের রায় শুনে তড়িঘড়ি ছুটির মেজাজ নষ্ট করে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এখনই দেশে ফিরতে নারাজ তিনি, তা বেশ স্পষ্ট। আদালতের রায় শুনেও ছুটি কাটানোর এই নির্লিপ্ত মেজাজ যেন নবাব-স্বভাবের নিখাদ উদাহরণ।
একদিকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হাতছাড়া, অন্যদিকে হাসিমুখে সি-ফুড খাওয়া—নবাবি মেজাজের ব্যাখ্যা হয় না কোনওকালেই! এটাই সইফ আলি খান—যাঁর জীবনে ঝড় এলেও, এতটুকু বিচলিত না হয়ে পানীয় হাতে ফুরফুরে মেজাজে ধীরপায়ে হেঁটে যান নীল জলরাশির পাড়ে!
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এজিয়ান সাগরে, গ্রিসের অন্তর্গত সাইক্ল্যাডিস (Cyclades) দ্বীপপুঞ্জের কেন্দ্রে ছোট্ট একটি দ্বীপ অ্যান্টিপারোস। নীল জলরাশির অপরূপ সৈকত, শান্তিপূর্ণ পরিবেশের দ্বীপের ছোট কিন্তু মনোরম গ্রাম ও সরল জীবনযাপন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। উল্লেখ্য, অস্কারজয়ী জনপ্রিয় অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস এবং তার স্ত্রী রিতা উইলসন-এর অ্যান্টিপারোসে একটি বাড়ি রয়েছে। বেশিরভাগ গ্রীষ্মে এই দ্বীপে ছুটি কাটাতে আসেন তাঁরা।
