সংবাদ সংস্থা মুম্বই: একটা সময় ছিল, যখন নতুন গল্প মানেই রিমেকের হুমকি। সাত এবং আটের দশকে ভারতের সিনেমা জগতে ‘মৌলিকত্ব’ ছিল যেন এক বিলাসিতা। দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্রশিল্প, যা আজ ‘প্যান ইন্ডিয়া ব্লকবাস্টার’-এর পরপর উদাহরণ তৈরি করছে, তারাও একসময় বলিউডেরই ছায়াপথ ধরে হাঁটত। এমনটাই দাবি করলেন প্রখ্যাত পরিচালক রাম গোপাল ভার্মা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “প্রথম দিকে পুরো দক্ষিণ ভারত — তামিল, তেলেগু, মালায়ালম, কন্নড় — সবাই মিলে অমিতাভ বচ্চনের ছবির রিমেক বানাত। রাজিনীকান্ত, চিরঞ্জীবী, এনটি রামা রাও থেকে শুরু করে রাজকুমার — প্রত্যেকেই ওই সময় অমিতাভের ছবির ওপর নির্ভর করতেন।” আর এভাবেই তৈরি হয়েছে দক্ষিণের নায়কদের সেই ‘ঈশ্বর’ ইমেজ। ভার্মার ভাষায়, “এই ‘মসলা’ ফর্মুলা আর থামেনি দক্ষিণে। আজও সেই রেশ বহন করছে বহু সিনেমা।”
একদিকে যখন ’৯০-র দশকে অমিতাভ খানিকটা বিরতি নেন, ঠিক তখনই বলিউডে ঢুকে পড়ে মিউজিক কোম্পানিগুলো। শুরু হয় এমন সিনেমার তৈরি, যেগুলোর উদ্দেশ্য কেবল গান বিক্রি করা — আর তারই ফসল ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ টাইপ হিট। সেই সময়েই এক নতুন বলিউড তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলছিল তাদের চেনা সিনেমা ভাষা — যার মূল চালিকাশক্তি ছিল ইংরেজি জানা, শহুরে বড় হওয়া, আর বিদেশি ছবির প্রতি এক প্রবল আকর্ষণ।
রাম গোপাল ভার্মা বলেন, “দক্ষিণের বেশিরভাগ মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির পরিচালকেরা সিনেমা সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি তুলনামূলকভাবে কম। তাঁরা সিনেমা নিয়ে আমাদের মতো করে আলোচনা করতে পারেন না। তাঁদের শিকড় অনেক বেশি ‘গ্রাউন্ডেড’। এটা ভাল-খারাপ বলছি না, কিন্তু পার্থক্য তো আছেই।”
