সংবাদ সংস্থা মুম্বই: কেরিয়ারের ঝুলিতে দেড়শোর বেশি ছবি। জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মানও। বয়স ৭০ পেরিয়ে গেলেও এখনও তিনি অবিসংবাদিত ‘বলিউড কুইন’। এই দুরন্ত অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল যারপরনাই রঙিন। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জুড়ে থাকত বিতর্কও। রেখাকে নিয়ে আজও কম ফিসফাস ছড়িয়ে থাকে না বলিপাড়ায়। কান পাতলেই শোনা যায় অভিনেত্রীর নাকউঁচু স্বভাব ও খামখেয়ালি মেজাজের কথা। এমনই এক অজানা ঘটনার কথা সম্প্রতি ফাঁস করলেন  একসময় বলিউড কাঁপানো ‘খলনায়ক’ রঞ্জিত। 

 

একটা সময় স্রেফ এক ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেতে পেতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন রঞ্জিত। সেই সময়ে নিজেকে বলিপাড়া থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এবং সেই সঙ্গে ভেবেছিলেন নিজেই এবার ছবি পরিচালনায় হাত পাকাবেন ও তাতে নিজের মনমতো চরিত্রে অভিনয় করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সেরকমই একটি ছবিতে রেখাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। সই-সাবুদ করে ' সাইনিং অ্যামাউন্ট'ও ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু রেখার খেয়ালখুশি, বদমেজাজি স্বভাবের জন্য সেই টাকা ফেরত নিয়ে নিজের ছবি থেকে রেখাকে বের করে দিয়েছিলেন তিনি! 

 

 

রঞ্জিতের কথায়, “রেখা আমার বন্ধু ছিল। কিন্তু আমার ছবিতে কাজ করার জন্য পারিশ্রমিক হিসাবে যে টাকা হেঁকেছিলেন, তা এককথায় দিয়ে দিয়েছিলাম। কয়েকদিন পরেই জানতে পারলাম ও আরও একটি ছবিতে কাজ করছে, সেখানে যা টাকা নিয়েছে তা আমার ছবির পারিশ্রমিকের থেকে অনেক কম! তারপর তো খেয়ালখুশির ইচ্ছে ছিল-ই ওর। বিকেলে গানের শুট আর ও বলছে সকালে করব। রাতে শুটিং করব না। বাইরে আউটডোরে গেলে বিকেলবেলার মধ্যে মুম্বইয়ে ফিরবে...মানে একের পর এক। রেখা করত কী, ইচ্ছে করে প্রযোজকদের নিজের ঘরের বাইরে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখত। অপেক্ষা করাত খামোখা। আমার লোকজনের সঙ্গেও করা শুরু করেছিল। সেই সময় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের সঙ্গে যুঝছিল রেখা। পরে অবশ্য দু’জনের মধ্যে সদ্ভাব হয়ে যায়। তারপর শর্ত দিল, বিকেলবেলার মধ্যে ওকে ছেড়ে দিতে হবে। শেষমেশ দেখলাম এরকম চললে বিরাট ঝামেলায় পড়ব। তাই সোজা গিয়ে রেখাকে দেওয়া টাকা ওর থেকে ফেরত নিয়ে নিয়েছিলাম। আর ওকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম, নিজের ছবিতে ওকে নিয়ে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না! ব্যস!”