টিনসেল টাউনে খবর অফুরান। বিনোদনের সমস্ত খবর জানতে যদি চান, চোখ রাখুন নজরে বিনোদনে। জেনে নিন সারাদিনের গরমাগরম খবর কী?

প্রয়াত মালয়ালম অভিনেতা

প্রয়াত প্রখ্যাত মালয়ালম অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজক শ্রীনিবাসন। শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ৬৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শুক্রবার রাতে ত্রিপুনিথুরায় অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কন্নুরের বাসিন্দা শ্রীনিবাসন দীর্ঘদিন ধরেই কোচিতে থাকতেন।

কোচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে যাওয়ার সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর দ্রুত তাঁকে ত্রিপুনিথুরা সরকারি তালুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

শ্রীনিবাসনের মরদেহ দুপুর ১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত এরনাকুলাম টাউন হলে জনসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য রাখা হবে। তার আগে মরদেহটি এরনাকুলাম জেলার কান্দানাড়ে তাঁর নিজের বাসভবনে রাখা হয়েছে।

দুপুর ১টা পর্যন্ত বাড়িতেই তাঁর মরদেহ রাখা থাকবে। যাতে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু এবং চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।

শ্রীনিবাসনের বড় ছেলে অভিনেতা-পরিচালক এবং সঙ্গীতশিল্পী বিনীত ইতিমধ্যেই বাড়িতে পৌঁছেছেন। ছোট ছেলে ধ্যান কোচির পথে। পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হওয়ার পরই মরদেহ জনসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। ভক্ত, সহকর্মী ও সাংস্কৃতিক জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২২ সাল থেকেই শ্রীনিবাসন নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং সে বছর তাঁর হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। তাঁর প্রয়াণে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে নেমে এসেছে গভীর শোক।

অক্ষয়কে হিংসে মাধবনের?

আদিত্য ধর পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’ বক্স অফিসে সফল। ছবিতে গ্যাংস্টারের ভূমিকায় অক্ষয় খান্নার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। ছবির এই সাফল্যের মাঝেই গুঞ্জন উঠেছিল, অক্ষয়ের প্রশংসার আলোয় নাকি কিছুটা আড়ালে চলে যাচ্ছেন আর মাধবন। তবে এই জল্পনা নিয়ে মুখ খুলে স্পষ্ট অভিনেতা জানালেন, অক্ষয়ের সাফল্যে তিনি খুশিই হয়েছেন।

ছবিতে আর. মাধবনকে দেখা গেছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর অজয় সান্যালের চরিত্রে, অন্য দিকে বালোচ গ্যাংয়ের নেতা রেহমান ডাকাতের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অক্ষয়।
এক সাক্ষাৎকারে মাধবনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বলছেন, স্পাই থ্রিলার ছবিতে অক্ষয়ই সব আলো কেড়ে নেওয়ায় তিনি নাকি অখুশি।

এই প্রশ্নের জবাবে মাধবন বলেন, “একেবারেই না। অক্ষয়ের জন্য আমি খুবই খুশি। সে যে প্রশংসা পাচ্ছে, তার প্রতিটাই প্রাপ্য। কী অসাধারণ প্রতিভাবান অভিনেতা! আর কতটা মাটিতে পা রেখে চলে। চাইলে সে অসংখ্য সাক্ষাৎকার দিতে পারত। কিন্তু সে নিজের নতুন বাড়িতে বসে সেই নীরবতাই উপভোগ করছে। আমি ভেবেছিলাম, আমি একটু আড়ালে থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু অক্ষয় খান্না তো সেই ব্যাপারে একেবারেই অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। ও এসব নিয়ে একদমই ভাবেনা। সাফল্য আর ব্যর্থতা, দুটোই ওর কাছে সমান।”

গৌরীর গর্ব আরিয়ান

শুক্রবার এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ‘বেস্ট ডেবিউট্যান্ট ডিরেক্টর অফ দ্য ইয়ার’ সম্মানে ভূষিত হলেন শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। সৌজন্যে তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ব্যাডস অফ বলিউড’।

পুরস্কার গ্রহণের পর তিনি এই সম্মানটি উৎসর্গ করেন তাঁর মা ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গৌরী খানকে।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে আরিয়ান বলেন, “সবার আগে আমি কাস্ট, ক্রু এবং নেটফ্লিক্সকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। একজন নতুন পরিচালকের উপর বিশ্বাস রাখার জন্য। আজকের সমস্ত বিজয়ীদের অভিনন্দন। এটা আমার প্রথম পুরস্কার, আশা করি ভবিষ্যতে আরও অনেক পাব। আমার বাবার মতো আমিও পুরস্কার খুব পছন্দ করি। তবে এই পুরস্কার বাবার জন্য নয়, আমার মায়ের জন্য। কারণ মা সবসময় আমাকে বলেন, তাড়াতাড়ি ঘুমোতে, কাউকে নিয়ে মজা না করতে আর একদমই গালাগালি না করতে। আর আমি জানি, আজ বাড়ি ফিরে আমাকে একটু কম বকুনি খেতে হবে।”