নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রায় বছর চারেক আগে 'ডাক্তার কাকু'কে বড়পর্দায় আনার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন পরিচালক পাভেল।‌ শুটিং শেষ হয়ে গেলেও, নানা জটিলতায় মুক্তি পিছিয়েছিল ছবির। অবশেষে তা বড়পর্দায় মুক্তির জন্য প্রস্তুত। 

 

 

 

ছবির যাবতীয় প্রশ্ন ঘুরবে তিনটি চরিত্রকে কেন্দ্র করে। ‘ডাক্তারকাকু’ ওরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর দুই ছেলে ‘পুশকিন’ ওরফে ঋদ্ধি সেন এবং ‘পচা’ ওরফে পাভেল স্বয়ং! প্রযোজনায় এনা সাহার জারেক এন্টারটেনমেন্ট। প্রযোজনার পাশাপাশি এনাকে দেখা যাবে ঋদ্ধির বিপরীতে। এ ছাড়াও আছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, তুলিকা বসু, শ্রীলগ্না বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

 

 

 

ছবিতে প্রসেনজিৎ আগের প্রজন্মের চিকিৎসক। যিনি ডাক্তারি পাশ করার সময় নেওয়া মানবসেবার শপথ অক্ষরে অক্ষরে মানেন। রোগী দেখতে শুরু করলে নাওয়া-খাওয়ার হুঁশ থাকে না তাঁর। পাড়া এবং আশপাশে চিকিৎসক দিলীপ সাহা তাই ঈশ্বর। আপনভোলা স্বামীকে সামলান স্ত্রী পারমিতা। এই চরিত্রে দেখা যাবে শুভশ্রীকে।

 

 

 

 

হঠাৎই সাময়িক অসুস্থতায় পারমিতার আকস্মিক মৃত্যু প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় ডাক্তারকাকুকে। কারণ, তিনি সেই সময় প্রতিবেশীর অসুস্থ স্ত্রীর সেবায় ব্যস্ত। মায়ের মৃত্যুর জন্য ছেলের বিতৃষ্ণার কারণ দিলীপ। কর্তব্যের খাতিরে মা-হারা পচা, মাম্পিরও দায়িত্ব নেন তিনি। অবশেষে ডাক্তার কাকুর দুই সন্তান চিকিৎসাকেই পেশা হিসাবে বেছে নেয়। তারা এ যুগের। স্বাভাবিক ভাবেই তাদের কাছে নানা প্রলোভনের হাতছানি। পুশকিন, পচাও সেই প্রলোভন এড়াতে পারে না। এ দিকে, দুই ছেলেকে লোভের হাত থেকে বাঁচাতে ডাক্তারকাকুর আপ্রাণ চেষ্টা। শেষ পর্যন্ত তিনি কি সফল হবেন? উত্তর মিলবে বড়পর্দায়।

 

 

 

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ছবির ডাবিং। চলতি বছরেই মুক্তি পাবে ছবিটি। সমাজমাধ্যমে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিচালক।