ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জোর চর্চা চলছে শুভ্রজিৎ মিত্রের 'দেবী চৌধুরানী'র। ছবিতে নামভূমিকায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এবং 'ভবানী পাঠক'-এর চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। এই ছবির প্রচার সারতে নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় অবস্থিত ‘দেবী চৌধুরানী’ রচয়িতা তথা সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্মৃতিবিজড়িত ভিটেতে হাজির হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তীরা। সেখান থেকে অনতিদূরে বহুল প্রচারিত এক কালী মন্দিরে এইমুহূর্তে হাজির হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী সহ ছবির আরও দুই অভিনেত্রী দর্শনা বণিক ও বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন দেবী চৌধুরানী র পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র-ও।

 

 

শ্রাবন্তীর পরনে ছিল লাল পাড় সাদা শাড়ি। অন্যদিকে প্রসেনজিতকে দেখা গিয়েছে সাদা রঙের ফিটেড কুর্তা-পায়জামা, সঙ্গে খাদির জ্যাকেট। খালি পায়ে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেই মন্দিরের চৌকাঠ ছুঁয়ে ভক্তিভরে নমস্কার করে কপালে হাত ঠেকালেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী। দেখাদেখি বাকিরাও। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এক ঝলক দেখার জন্য স্থানীয় মানুষের ভিড় জমেছিল। কড়া নিরাপত্তা ও পুলিশি প্রহরায় মন্দিরে ঢুকলেন দেবী চৌধুরানী র কলাকুশলীরা।  কালীমূর্তিকে জোড়া পদ্ম অর্পণ করে হাত জোড় করে আশীর্বাদ চাইলেন প্রসেনজিৎ। শ্রাবন্তী তখন অভিনেতার বাঁ পাশে। 

 

 

তাঁদের এক ঝলক দেখার জন্য স্থানীয়দের ঢল নামল মন্দির চত্বরে। কড়া নিরাপত্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হল পুজো ও এই বিশেষ সফর। তবে ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবি সম্পর্কে সেখানে জড়ো হওয়া স্থানীয় মানুষ এবং অনুরাগীদের কাছে প্রায় কোনও বক্তব্য রাখেননি প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তীরা। তবে এই ছবি নিয়ে যে তাঁরা বেশ উচ্ছ্বসিত তা আজকাল ডট ইন-কে জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসেনজিৎ স্বল্প কথায় জানিয়েছেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখনীর সঙ্গে যেভাবে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে, তাই তাঁর আশা এই ছবি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে ফেলতে পারে।