সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বছরের পর বছর ধরে আমির খান তাঁর সিনেমা মুক্তির ক্ষেত্রে বারবার দেখিয়েছেন অভিনবত্বের ছাপ। ২০২৪-এ 'লাল সিংহ চাড্ডা' ব্যর্থ হলেও এবার ‘সিতারে জমিন পর’-এর মাধ্যমে নতুন কৌশল নিয়ে ফিরছেন তিনি। ২০ জুন, বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি—তবে প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে, একদম আলাদা রিলিজ মডেলে।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, আমির খান এবং তাঁর ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনার পিভিআর আইনক্স মিলে এই ছবিকে "প্ল্যাটফর্ম রিলিজ" দিতে চলেছেন। অর্থাৎ, প্রথমে কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রিমিয়াম হল-এ ছবি মুক্তি পাবে এবং তারপর দর্শকদের চাহিদা বুঝে ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে শো সংখ্যা এবং স্ক্রিন কভারেজ—রিয়েল টাইম রেসপন্স অনুসারে।
এবং শুরুতেই ১০০০-১২৫০ স্ক্রিনে রিলিজ! সেই সূত্র আরও বলছে, আমিরের এই ছবিটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরুতে প্রায় ১০০০ থেকে ১২৫০ স্ক্রিনে মুক্তি পাবে। প্রযোজকরা বিভিন্ন কৌশল ভেবে দেখার পর এই প্ল্যান চূড়ান্ত করেছেন। আমির এই ছবির ওপর অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী এবং বর্তমান প্রেক্ষাগৃহের দর্শক মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট সচেতন। তাই তিনি শর্ট টার্ম নয়, বরং লং টার্ম বক্স অফিস খেলায় বিশ্বাস রাখছেন।
সূত্র আরও জানিয়েছে, এই সিনেমা এমন একটি গল্প ও ভাবনা নিয়ে তৈরি যা ভরা প্রেক্ষাগৃহে বসে সম্মিলিত আবেগ তৈরি করবে। তাই শুরুতে ছবিটি থাকবে নির্বাচিত হাই-পারফর্মিং হলে, পরে চাহিদা অনুযায়ী ধীরে ধীরে পৌঁছাবে মেট্রো ও টায়ার-২/৩ শহরের ' মাস বেল্ট'-এ।
উল্লেখ্য, ‘সিতারে জমিন পর’ শুধুমাত্র সিনেমা হলে মুক্তি পাবে। কোনও ওটিটি রিলিজের পরিকল্পনা আপাতত নেই। ফলে ছবির জন্য আমিরের হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকবে দর্শকদের রিভিউ ও ‘ওয়ার্ড অফ মাউথ’-এর উপর ভিত্তি করে স্ট্র্যাটেজি বদলানোর।ছবিটি মুক্তির পরে আমির খানের "পোস্ট-রিলিজ প্রোমোশন" কৌশলও থাকবে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক। তাঁর বিশ্বাস, এই ছবি ধীরে ধীরে সাফল্যের পথে এগোবে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসা করতে পারবে। এছাড়াও ছবিটির আন্তর্জাতিক রিলিজ পরিকল্পনাও তৈরি হচ্ছে, তবে চূড়ান্ত রোডম্যাপ জানা যাবে মুক্তির আরও কাছাকাছি সময়ে।
প্রসঙ্গত, এই প্ল্যাটফর্ম রিলিজ কৌশল অতীতে সফলভাবে ব্যবহার করেছে রাজশ্রী প্রোডাকশন (হম আপকে হ্যায় কৌন, উঁচাই) এবং যশ রাজ ফিল্মস (দম লাগা কে হাইশা)—যেখানে দর্শকদের মুখে মুখে প্রচার থেকেই ব্যবসার সাফল্য আসে।'সিতারে জমিন পর' নিয়ে আমিরের এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আবার প্রমাণ করছে কেন তাঁকে বলিউডের 'মাস্টার স্ট্র্যাটেজিস্ট' বলা হয়। এখন দেখার, এই ফিল্ম ও কৌশল—দু’টোই একসঙ্গে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে ভারতের সিনেমা বাজারে।
