নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী তিনি। ৮৮ বছরে পা রেখেও বাঙালির মনের মণিকোঠায় 'ধন্যি মেয়ে'-র ইমেজটাই গেঁথে রয়েছে। তিনি সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি এই স্বনামধন্য অভিনেত্রীর জন্মদিন। পদ্মশ্রী, বঙ্গবিভূষণের মতো পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশি সময় অভিনয়ের জন্য নিজেকে সমর্পন করেছেন। 

 


বহু ছবি, ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্মদিনের প্রিয় 'সাবুদি'কে নিয়ে আজকাল ডট ইন-এ অজানা কথা বললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সাবিত্রীকে এক ঝলক দেখে এক কথায় প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, "'ভাঙা গড়া' ছবিতে সাবুদিকে প্রথম দেখেছিলাম। বড়পর্দায় ওঁকে দেখে সেদিনই প্রেমে পড়ে যাই। এখনকার সময় হলে হয়তো 'প্রপোজ' করে ফেলতাম। একসঙ্গে পথ চলতে চাইতাম। কিন্তু সাহস হয়নি মুখ ফুটে বলার।"

 

 

তিনি আরও বলেন, "আমরা দু'জন 'সোনার হরিণ' নামে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলাম। পর্দায় আমাদের দেখে সাবুদির বড়দি বলেছিলেন 'দু'জনকে বড্ড ভাল মানিয়েছে।' এই কথা শুটিং ফ্লোরে এসে আমায় জানান সাবুদি। জবাবে সেদিন মজার ছলে বলেছিলাম, 'এই জন্মে তো হল না। এখন থেকেই ইঁট পেতে রাখলাম। পরের জন্মে কিন্তু অন্য কারওর কাছে যেও না।' আসলে আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা বড্ড মধুর। তাই অনায়াসে একে অপরকে অনেক কথা বলতে পারি।"

 

 

পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, "হলফ করে বলতে পারি, ওঁর মতো অভিনেত্রী দু'টো নেই। সুযোগ পেলে নামজাদা অনেক অভিনেত্রীর থেকে এগিয়ে যেতে পারতেন সাবুদি। আজ ওঁর জন্মদিনে দীর্ঘায়ু কামনা করি। সারাজীবন অভিনয়ের জন্য নিজেকে সমর্পণ করেছেন। ওঁর ইচ্ছে শক্তিকে কুর্নিশ জানাই।"