বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলি খান সম্প্রতি তাঁর পডকাস্টে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানান সোনাক্ষী সিনহা ও কস্তুরি মহান্তকে। পর্বটির কেন্দ্রে ছিল প্রেম, সম্পর্ক এবং আবেগের নানা দিক। কথোপকথনের মাঝেই সোহা শোনান তাঁর মা, প্রবীণ অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকে ঘিরে একটি মজার ঘটনা—যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, শর্মিলা একসময় তাঁর স্বামী মনসুর আলি খান পতৌদির ঘুম ভাঙার আগেই উঠে সামান্য মেকআপ করে আবার শুয়ে পড়তেন।
সোহা জানান, তাঁর মা এক সময় সৌন্দর্যের সেই স্বাক্ষর বজায় রাখতে ছোট্ট এই রুটিন মেনে চলতেন। তিনি বলেন, “মা আমাকে একবার বলেছিলেন, বিয়ের পর তিনি নাকি বাবার ঘুম ভাঙার আগে উঠে একটু রুজ লাগিয়ে আবার শুয়ে পড়তেন। কারণ তিনি শর্মিলা ঠাকুর—আর বাবার ঘুম যেন শর্মিলা ঠাকুরকেই দেখে ভাঙে! অবশ্য, কয়েকদিনের মধ্যেই এই অভ্যাস বন্ধ হয়ে যায়।”
এই প্রসঙ্গে সোনাক্ষী জানান, তাঁর এবং জাহির ইকবালের সম্পর্ক কেবল চেহারা বা বাহ্যিক সৌন্দর্যের উপর দাঁড়িয়ে নয়। তিনি বলেন, “আমি এসব নিয়ে ভাবিই না। আমাদের সম্পর্কের আকর্ষণ বহু গভীর জায়গা থেকে আসে। ও আমাকে যেমনভাবে অনুভব করায়, সেটা বদলানোর নয়। আমায় কেমন দেখতে বা আমার চেহারা কেমন, তা নিয়ে ও কখনও আমাকে অনিরাপত্তায় ভোগায়নি।”
২৪ বছর বয়সে শর্মিলা বিয়ে করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও ভোপালের নবাব মনসুর আলি খান পতৌদিকে। ১৯৬৮ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের তিন সন্তান—সাবা আলি খান, সইফ আলি খান এবং সোহা আলি খান। সইফ এবং সোহা তাঁদের মায়ের মতোই অভিনয় জগতে প্রবেশ করলেও, সাবা আলোকবৃত্তের বাইরে থেকে অন্য পথে হাঁটেন।
এক সাক্ষাৎকারে সোহা স্মৃতির পাতা উল্টে বললেন, কীভাবে তাঁর মা শর্মিলা সংসারের আর্থিক দায়িত্ব সামলাতেন। অভিনেত্রী বলেন, “মা ছিলেন তিন বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘদিন ধরেই তিনিই পরিবারের রোজগারের মূল ভরসা ছিলেন। বিয়ের পরেও সংসারের আয় তিনিই করতেন। বাবা যদিও উত্তরাধিকারসূত্রে সম্পদ পেয়েছিলেন এবং ক্রিকেট খেলতেন, কিন্তু সেই সময় ক্রিকেটে তেমন আর্থিক উপার্জন ছিল না।”
১৪ বছর পর শর্মিলা ঠাকুর ফিরে আসেন বাংলা সিনেমায় ‘পুরাতন’ ছবির মাধ্যমে। সুমন ঘোষ পরিচালিত এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত প্রযোজিত এই ছবি ২০২৫ সালে সমালোচক ও দর্শক—উভয়ের প্রশংসা কুড়িয়ে বছরের অন্যতম ব্যবসাসফল বাংলা ছবির মর্যাদা পায়।
