জটিলতা যেন কাটছেই না! সম্প্রতি করিশ্মার মেয়ের কলেজের দুই মাসের ফিজ বকেয়া রয়েছে বলে, অভিযোগ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নায়িকার আইনজীবী। ফের নতুন প্রসঙ্গ টেনে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তাঁরা। বাবা সঞ্জয় কাপুরের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তি কড়ায়গন্ডায় বুঝে নেওয়ার জন্য বর্তমানে সৎ মা, প্রিয়া সচদেবের সঙ্গে আইনি লড়াই লড়ছেন করিশ্মার দুই সন্তান। তাঁরা এদিন প্রয়াত ব্যবসায়ীর উইলে থাকা সইয়ের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে কী নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট?
করিশ্মার দুই সন্তান, সামাইরা এবং কিয়ান দিল্লি হাইকোর্টের কাছে জানিয়েছেন যে প্রিয়া সচদেব সঞ্জয় কাপুরের যে উইল প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর মৃত্যুর পর, তাতে থাকা প্রয়াত ব্যবসায়ীর সই তাঁর করা নয়। অর্থাৎ জাল। ১৭ নভেম্বর শুনানির পর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার গগনদীপ জিন্দল প্রিয়া সচদেব এবং শ্রদ্ধা সুরি মারওয়া, অর্থাৎ এই উইলের এক্সিকিউটির ছিলেন তাঁদের জন্য নোটিশ জারি করেছেন। এবং আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর শুনানি হবে এই কেসের।
করিশ্মার দুই সন্তানের মতে উইল অদলবদল করা হয়েছে, এবং সবটাই ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয়েছে যাতে তাঁদের বাবার সম্পত্তির ভাগ না দেওয়া হয়। অন্যদিকে প্রিয়া সচদেবের আইনজীবী জানিয়েছেন এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, উইল কখনই জাল করা যায় না বানান ভুলের কারণে। সঞ্জয় কাপুরের সই জাল করা হয়নি বলেও তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে। তবে করিশ্মার দুই সন্তান, সামাইরা এবং কিয়ান চান এই সইয়ের সত্যতা যাচাই কর হোক।
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভাল, সিনিয়র আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি করিশ্মা কাপুরের সন্তানদের হয়ে এই কেস লড়ছেন। তিনি সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন যে যেহেতু করিশ্মা এবং সঞ্জয়ের সন্তান তাঁরা, তাই তাঁদের খরচ সঞ্জয়েরই বহন করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে প্রয়াত ব্যবসায়ীর সমস্ত সম্পত্তি, ইত্যাদির দেখভাল করছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী প্রিয়া কাপুর। তাঁদের এই আবেদন শুনে বিচারপতি জ্যোতি সিং সোজাসুজি জানিয়ে দেন, 'আমি চাই না এই শুনানি মেলোড্রামায় পরিণত হোক।'
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন সঞ্জয় কাপুরের। ২০২৫ সালের জুন মাসে পোলো খেলার সময় লন্ডনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সঞ্জয়। তারপর করিশ্মার দুই সন্তান সামাইরা এবং কিয়ান তাঁদের মৃত বাবার ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ন্যায্য দাবি জানিয়ে কোর্টে গিয়েছিল। ২০০৩ সালে সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন করিশ্মা। কিন্তু তাঁদের সেই বিয়ে সুখের হয়নি। স্বামীর নামে একাধিক অভিযোগ আনেন তিনি। ২০১৬ সালে অবশেষে খাতায় কলমে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাঁরা।
