করিশ্মা কাপুর মুম্বইয়ের বান্দ্রা ওয়েস্টে অবস্থিত নিজের আবাসিক ফ্ল্যাটটি মাসিক ৫.৫১ লাখ টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। ইনস্পেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রেশন পোর্টালে উপলব্ধ সম্পত্তির নথি—যা স্কোয়ার ইয়ার্ডস পর্যালোচনা করেছে—অনুযায়ী ভাড়ার চুক্তি ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে রেজিস্টার করা হয়েছে।
ফ্ল্যাটটি বান্দ্রা ওয়েস্টের হিল রোডে অবস্থিত গ্র্যান্ড বে কনডোমিনিয়ামে, যার কার্পেট এলাকা প্রায় ২,২০০ বর্গফুট (২০৪.৩৮ বর্গমিটার)। ভাড়াটিয়ার জন্য তিনটি পার্কিং স্পেসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নথি অনুযায়ী, চুক্তির রেজিস্ট্রেশন ফি ছিল এক হাজার টাকা এবং স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১৭ হাজার ১০০ টাকা। নিরাপত্তা জমানত হিসাবে ভাড়াটিয়া জমা দিয়েছেন ২০ লাখ টাকা।
নতুন লিজ চুক্তি এক বছরের জন্য বৈধ, যা ২০২৫ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হবে। এর ফলে পুরো বছরের ভাড়া আয় দাঁড়াবে ৬৬.১২ লাখ টাকা।
রেকর্ড থেকে জানা যায়, একই ফ্ল্যাটটি আগেও ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। পূর্ববর্তী চুক্তি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে রেজিস্টাপ হয়েছিল এবং তা দু'বছরের জন্য ছিল। প্রথম বছরে ভাড়া নির্ধারিত ছিল মাসিক পাঁচ লাখ টাকা, যা দ্বিতীয় বছরে বেড়ে ৫.২৫ লাখ হয়। সেই লিজ থেকে মোট ভাড়া আয় হয়েছিল ১.২৩ কোটি টাকা।
বান্দ্রা ওয়েস্ট মুম্বইয়ের অন্যতম অভিজাত এলাকা—বিলাসবহুল বাড়ি, ব্যস্ত হাই-স্ট্রিট, জনপ্রিয় ক্যাফে, কার্টার রোড এবং ব্যান্ডস্ট্যান্ডের মতো মনোরম জায়গার জন্য বিখ্যাত। ব্যান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স–সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অঞ্চলের সঙ্গে এর দ্রুত যোগাযোগ এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
করিশ্মার প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর চলতি বছরের জুন মাসে প্রয়াত হন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তি নিয়ে আইনি বিরোধ শুরু হয়েছে। করিশ্মার সন্তানরা উত্তরাধিকার দাবি করেছেন, অন্যদিকে সঞ্জয়ের বোন মন্দিরা কাপুরও তাঁদের মায়ের অংশ দাবি করছেন।
সঞ্জয় ও করিশ্মার দুই সন্তান—সামাইরা এবং কিয়ান। সঞ্জয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী প্রিয়া সচদেব করিশ্মার বিরুদ্ধে আইনি মামলা করেছেন। অভিযোগ, তিনি নাকি জালিয়াতি করে সঞ্জয়ের উইল তৈরি করেছেন, যাতে তাঁদের ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যায়।
অক্টোবর মাসের শুনানিতে সামাইরা এবং কিয়ানের আইনজীবী মহেশ জেঠমলানি আদালতে প্রিয়া সচদেবের পেশ করা উইলকে ‘সন্দেহজনক’ বলে বর্ণনা করেন।
সঞ্জয়ের বোন মন্দিরা দাবি করেন, প্রিয়াই নাকি করিশ্মা–সঞ্জয়ের দাম্পত্য ভাঙার প্রধান কারণ। “লোলো যখন সঞ্জয়ের সঙ্গে ছিল, তখনই নাকি ও সঞ্জয়কে নিয়মিত মেসেজ পাঠাত। একজন নারী হয়ে কীভাবে অন্যের সংসার ভাঙতে পারে?” প্রশ্ন তোলেন তিনি।
