সংবাদ সংস্থা, মুম্বই: একদা পর্দায় ‘পু’ এলে নজর ফেরাতে পারতেন দর্শকেরা। একের পর এক ছবিতে তাঁর আকর্ষণীয় উপস্থিতি দর্শক মনে আলাদাই জায়গা পেয়েছিল। সাইজ ‘জিরো’ করেও তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি করিনা কাপুর খান। এখন তাঁর বয়স পেরিয়েছে ৪০। দুই সন্তানে মা বেবো। তবে নিজস্ব ব্যক্তিত্বের ক্যারিশ্মাতেই তিনি উজ্জ্বল। 

আর পাঁচজন রূপোলি জগতের তারকাদের মতো কৃত্তিম উপায়ে সৌন্দর্য বাড়ানোর দিকে ঝোঁকেননি করিনা। যার নেপথ্যে নাকি রয়েছেন স্বামী সইফ আলি খান। কিন্তু কীভাবে? সেই কথাই ফাঁস করলেন ‘জব উই মেট’ নায়িকা।

বলিউডে অনেক নায়িকাই যৌবন ধরে রাখতে বিভিন্ন কৃত্তিম উপায়ের সাহায্য নিয়ে থাকেন। প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও কখনও টিকালো নাক, আবার কখনও বা ঠোঁটের আকৃতি বদলানো কিংবা টান টান চামড়া পেতে অথবা বয়স ধরে রাখতে বোটক্স, ফিলারের সাহায্য নিয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু সেসবের ধার ধারেন না করিনা। তাঁর কথায়, "সৌন্দর্যের কোনও বয়স হয় না। প্রত্যেক বয়সের আলাদা সৌন্দয্য রয়েছে। আমি বোটক্স বা এই ধরনের কিছু করার পক্ষপাতিত্ব নই।“

এখানেই শেষ নয়, করিনা বলেন, "আমার স্বামী ৪৪ বছরেও আমাকে  আকর্ষণীয় মনে করেন। আমি আমার বয়স নিয়ে গর্বিত। আমি মনে করি বয়স লুকানোর নয়, উদযাপন করার। আমি যেমন তেমনই যেন দর্শকেরা আমায় দেখতে পান।‘ বোটক্স না করালেও নিয়মিত শরীরচর্চা ও সঠিক খাদ্যাভাসে নজর দেন অভিনেত্রী।

বরাবরই নিজের শর্তে বাঁচেন করিনা কাপুর খান। কেরিয়ার মধ্যগগনে থাকাকালীন সইফ আলি খানকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। সেই সময়ে তাঁকে অনেকেই বিয়ে করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তেই অনড়  ছিলেন করিনা। বিয়ে এমনকী দুই সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরও চুটিয়ে অভিনয় করে চলেছেন নবাব পত্নী।

গণেশ চতুর্থীতে আম্বানিদের বাড়িতে করিনা ও সইফকে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা রং মিলান্তি করে পরেছিলেন লাল রঙের এথনিক পোশাক। মুকেশ আম্বানি আয়োজিত গণেশ দর্শনের সময় সইফের পরণে ছিল ধুতি আর পঞ্জাবি, আর করিনাকে দেখা গিয়েছে সালোয়ারে।