অবশেষে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে এক হল উজি এবং ঋষি। যদিও বোনের বিয়েতেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে নিশা। যদিও বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত বিবাহ বাসরে এসে পৌঁছয় সে। কিন্তু বিয়ে ভন্ডুল না করতে পারলেও, বাবার দোষী বলে যাকে মানে, সেই ঋষিকে মোটেই ছাড়বার পাত্রী নয় নিশা। তাই বোনের বিয়ের পরই জব্বর ফন্দি আঁটে ঋষিকে শাস্তি দেবে বলে। কিন্তু এতে কি শেষ পর্যন্ত বোনের সর্বনাশ করে ফেলবে নিশা? 

জি বাংলার তরফে এদিন যে প্রোমো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে বিয়ের পর ঋষি এবং উজি একটি গ্রামে গিয়েছে। সেখানে একটা ভ্যানে চেপে দু'জনে গল্প করত কে যাচ্ছে। ঋষি উজিকে জানায়, সে তার জীবনে যে শান্তি নিয়ে এসেছে, সেটাই সে উজির সঙ্গে ভাগ করে নিতে চায়। তার জবাবে উজি জানতে চায়, সে কী করে জানল যে ওর কলকাতার কোলাহলে ভাল লাগে না? দমবন্ধ লাগে? 

গল্প করতে করতেই গাড্ডায় পড়ে তাদের বাহন। বলা ভাল, ফন্দি করে গাড্ডায় গাড়ি ফেলা হয়। কারণ সেই বাহনের চালক ছিল নিশা। সে গলা নকল করে ঋষিকে অনুরোধ করে গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য, এবং চাকাকে গাড্ডা থেকে তোলার জন্য। কথা মতো, ঋষি গাড়ি থেকে নেমে ওকে সাহায্য করতে যায়। আর তখনই তাকে অপহরণ করে নিশার গুন্ডারা। এরপর কী ঘটে সেটাই দেখার! বিয়ের পর উজির জীবন কোন ঝড় ওঠে, আর সেটা কেন্দ্র করে দুই বোনের জীবন কোনদিকে বাঁক নেয় সেটা আগামী দিনই বলবে। 

প্রসঙ্গত, ভাগ্যের পরিহাসে নিশার বিয়ের দিনই মারা যায় তাদের বাবা। ব্যবসায়ী ঋষি ব্যানার্জির পরিবারের উপর বাবার মৃত্যুর সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে নিশার। বোন উজিকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় আসে সে। ঋষি ও তার পরিবারকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য দিনের পর দিন ধরে নানা ছক কষতে থাকে নিশা। বোন উজি ও বন্ধু ভানুকে সঙ্গে নিয়ে ঋষির পরিবারের সঙ্গে জুড়ে যায় সে। কিন্তু বারবার ছক কষেও বিফল হয়। এবার কী ঘটে সেটাই দেখার। 

তবে জোয়ার ভাঁটা ধারাবাহিক মাত্র কয়েকদিন হল শুরু হয়েছে, কিন্তু অল্প দিনেই নজর কেড়েছে এই ধারাবাহিকের চরিত্ররা। আর সেটা টিআরপিতে চোখ রাখলেই বোঝা যাচ্ছে। নিশা এবং উজির চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রুতি দাস ও আরাত্রিকা মাইতি।