সংবাদসংস্থা মুম্বই: ১৫ জানুয়ারির মধ্যরাতে বাড়িতে দুষ্কৃতীর ছুরিতে গুরুতর জখম হন সইফ আলি খান। সেই রাতেই মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেতা। দিন পাঁচেক পর ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন সইফ আলি খান। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, বিরাট বিপদ থেকে কয়েক চুলের জন্য বেঁচে গিয়েছেন সইফ। আপাতত সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে বলি-অভিনেতাকে। বাড়িতেও কড়া নজরদারিতে থাকতে হবে তাঁকে। মেনে চলতে হবে চিকিৎসকদের পরামর্শ। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর নিজের আবাসনের নীচে দেহরক্ষীদের ঘেরাটোপে বীরদর্পে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল সইফকে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী করিনাও। সেই দেখে নেটপাড়ার একটি বড় অংশ প্রশ্ন তোলেন, আদৌ কি আহত হয়েছিলেন সইফ না কি গোটাটাই প্রচারে থাকার জন্য ছিল কোনও সস্তা ‘স্টান্ট’? এইবার এই নিয়ে মুখ খুললেন জয়দীপ অহলাওয়াট।

 

নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে চলেছে সইফের ‘জুয়েল থিফ’ ছবিটি। একটি মূল্যবান হীরে চুরির ঘটনা ছবির প্রেক্ষাপট। সেই কারণেই মুম্বইয়ে নেটফ্লিক্সের একটি অনুষ্ঠানে সেই ঘটনার পর প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সইফ। সইফ ছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়দীপ অহলাওয়াট। এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেতা তিনি। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে এত বড় অস্ত্রোপচারের পর সইফের হাঁটাচলার প্রসঙ্গে জয়দীপ বললেন, “আমি জানি, সইফ আহত। ওঁর সব ক্ষতের দাগ নিজের চোখে দেখেছি।” এত সব কিছু হওয়া সত্বেও সইফ যেভাবে নিজের পেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন, তাতে মুগ্ধ জয়দীপ –“যেভাবে উনি কাজের জগতে ফিরে এসেছেন তাতে ওঁকে কুর্নিশ জানাই। নিজের কাজকে কী করে সবকিছুর আগে রাখতে হয়, দেখিয়ে দিলেন সইফ।”

 

 


সইফের পরনে ছিল ডেনিম শার্ট এবং জিন্স। চোখ এড়ায়নি বলি-তারকার বাঁ হাত মোড়া ব্যান্ডেজের পাশাপাশি তাঁর ঘাড়ের উপরে আড়াআড়ি ভাবে লম্বা ক্ষতচিহ্নের উপর লেগে থাকা ছোট ছোট ব্যান্ড-এইড। বলি-অভিনেতার কানের সামান্য নীচ থেকে গলা ছাড়িয়ে যাওয়া ওই ক্ষতচিহ্নের মূলে যে রয়েছে ধারালো অস্ত্র, তা এক ঝলকেই স্পষ্ট। এবং তা দেখেই মন গলেছে নেটিজেনদের। এক বাক্যে তাঁরা মেনে নিয়েছেন, স্রেফ কোনও ছবির প্রচারের জন্য ‘এইসব’ হতে পারে না। এই ক্ষত পুরোপুরি 'রিয়েল'! অন্যদিকে, সইফ-কাণ্ডে ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজাদ আপাতত রয়েছে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে।

 

 

সেদিনের অনুষ্ঠানে সইফ উপস্থিত দর্শকের উদ্দেশ্যে উদাত্ত গলায় বলে উঠেছিলেন, “আপনাদের সামনে হাজির হতে পেরে ভীষণ খুশি আমি। সত্যিই খুব ভাল লাগছে। আমি অনেকদিন ধরেই এই ধরনের একটা ছবি করতে চাইছিলাম। শেষমেশ তা করলাম এবং উপরি পাওয়না জয়দীপের মতো একজন সহ-অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা।”