তাঁর পায়ের তলায় সর্ষে। শুটিং ফ্লোর থেকে জিম, ডাবিং স্টুডিও— দৈনন্দিন জীবনের গতে বাঁধা মানচিত্রে তিনি ছুটে চলেছেন অবিরাম। তবে এবার খানিক থামতে হল। পায়ে চোট পেয়েছেন ইশা সাহা। জীবনের প্রথম প্লাস্টার। সাদাকালোর মুড়ে সেই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে।
আজকাল ডট ইন-কে ইশা বলেন, “১২ তারিখ একটা চোট পেয়েছিলাম। তখনও সেভাবে কিছু টের পাইনি। কয়েকদিন পর পা টা ফুলতে থাকে। চিকিৎসককে দেখিয়ে এক্স রে করালাম। দেখা গেল, হেয়ার লাইন ফ্র্যাকচার। অগত্যা প্লাস্টার। যা বুঝছি, জীবনের প্রথম ফ্র্যাকচার প্রথম প্রেমের মতোই। সহজে ভোলা যায় না।”
আপাতত চলাফেরার গতি কিছুটা কমিয়েছেন ইশা। তবে চুপটি করে বসে থাকার পাত্রীও তিনি নন। চিকিৎসকের পরামর্শে হাঁটছেন ‘টুকটুক’ করে। করছেন কাজও। ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’র ডাবিং। নায়িকার কথায়, “আপাতত আমার ব্যস্ততা একটু কম। তবে খুব বেশি দেরি নেই। আর ১০-১২ দিনের মধ্যেই পা পুরোপুরি সেরে যাবে। প্লাস্টার খুলে ফেলব। তারপর আবার আগের মতো চুটিয়ে কাজ করব।”
 
            
            
          
        ?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" data-instgrm-version="14">
 
        ?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener"> 
   
 
    
 
    
 
   
    View this post on Instagram
     
    
 
    
    
  
  
            
            
          
        ?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Ishaa Saha (@ishaasaha_official)
 
 
সেপ্টেম্বরে মুক্তি পেতে চলেছে ইশার বহু প্রতীক্ষিত সিরিজ ‘ইন্দু’র তৃতীয় কিস্তি। হাতে গোনা আর কয়েক দিন। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় ছিলেন অনুরাগীরা। কত প্রশ্ন, কত কৌতুহল! এবার জবাব মেলার পালা। আর তাতেই যেন ঘুম উড়েছে নায়িকার। তাঁর বক্তব্য, “পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর সময় যেমন চিন্তা হয়, ইন্দু মুক্তি পাওয়ার আগেও ঠিক তেমনই হবে। একবার দর্শকের মতামত পেয়ে গেলে চিন্তা কিছুটা কমবে। আসলে প্রত্যেকটা সিজনেই আলাদা আলাদা পরিচালক পেয়েছি। তাঁরা প্রত্যেকেই খুব ভাল। কিন্তু নিজে কতটা গুছিয়ে কাজ করতে পেরেছি, সেই বিষয়ে চাপ থেকেই যায়। সকলের মতামত পাওয়ার পর দেখতে বসব। ভাল-খারাপ যা-ই বলা হোক, আমি নিজেও নিজের মূল্যায়ন করব। বলা যায়, খুঁত ধরব।”
পরিচালকের কথাই ইশার কাছে বেদবাক্য। যাকে ইংরেজিতে বলে ‘ডিরেক্টরস অ্যাক্টর’। অর্থাৎ ক্যামেরার ওপার থেকে ‘ওকে’ এলেই নায়িকা মোটের উপর নিশ্চিন্ত। তবু আজও পর্দায় নিজেকে চাক্ষুষ করতে সঙ্কোচের অন্ত নেই। ছবি বা সিরিজ মুক্তির দিন বুক ধুকপুক! “প্রিমিয়ারের সময় আমি ছবি দেখি না। দর্শকের কেমন লাগল জানার পর দেখার সাহস পাই। কাজ করার সময় আমার ক্যামেরায় আমার ডান প্রোফাইল ভাল না বাম, সে সব নিয়ে ভাবি না। পরিচালক যদি বলেন ঠিক শট দিয়েছি, সেটাই আমার কাছে শেষ কথা। তবে নিজের কোথাও খুঁতখুঁত করলে অবশ্যই বলি। ফের শট দিই। মন দিয়ে কাজটা করার চেষ্টা করি। বাকিটা ছেড়ে দিই দর্শকের উপর”, ‘ইন্দু’র অকপট স্বীকারোক্তি।