বরেলি জেলা প্রশাসন বলিউড অভিনেত্রী দিশা পাটানির বাবা জগদীশ পাটানিকে অস্ত্র রাখার লাইসেন্স প্রদান করেছে বলে রবিবার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
জগদীশ পাটানি, যিনি উত্তর প্রদেশ পুলিশে ডিএসপি পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত, সম্প্রতি দিশার পৈতৃক বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিবর্ষণের পর জেলা প্রশাসকের কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানান। ঘটনার পর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।
বরেলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবনীশ সিং জানান, বাড়িতে হামলার ঘটনার পরই জগদীশ অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁকে পিস্তলের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর দু’জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী মোটরসাইকেলে এসে দিশা বাড়ির বাইরে প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনায় কোতওয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি—রবীন্দ্র এবং অরুণকে ১৭ সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদে উত্তর প্রদেশ এসটিএফ, হরিয়ানা এসটিএফ এবং দিল্লি পুলিশের যৌথ অভিযানে এনকাউন্টারে মারা যায়।
বরেলির এসএসপি অনুরাগ আর্য জানান, পাটানি পরিবারের বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের মতোই বহাল থাকবে।
দিশার বাড়িতে ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে, যেখানে দেখা যায় একটি বাইক দিশার বাড়ির সামনে এসে থামে। এরপর বাইকে থাকা এক ব্যক্তি বন্দুক বার করে একাধিক রাউন্ড গুলি চালায়। তারপর দ্রুতগতিতে বাইক নিয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আসল লক্ষ্য ছিলেন দিশার বাবা জগদীশ পাটানি। তিনি বারান্দার একটি থামের আড়ালে লুকিয়ে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অবিলম্বে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে দুই অভিযুক্ত নিহত হয়। এই এনকাউন্টার যৌথভাবে পরিচালনা করে উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল।
দিশা বর্তমানে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং ফিটনেস-আইকন। মডেলিং দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও খুব দ্রুতই তিনি ছবির ক্ষেত্রেও নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন। ‘এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’তে তাঁর অভিনয় দর্শকদের নজর কেড়েছিল। আর সেই সঙ্গে শুরু হয়েছিল তাঁর খ্যাতির যাত্রা। সামাজিক মাধ্যমে তিনি অত্যন্ত সক্রিয় এবং তাঁর ফিটনেস রুটিন, স্টাইল সেন্স এবং ভ্রমণ-ডায়েরি নিয়মিত ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি পরিবারের সঙ্গেও খুবই ঘনিষ্ঠ। সাম্প্রতিক ঘটনায় তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়ালেও দিশা দৃঢ়তা এবং পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী রয়েছেন।
