সংবাদসংস্থা মুম্বই: সুদূর হলিউড থেকে শুরু করে বলিউডে সমান্তরাল ঘরানার ছবি হোক কিংবা মূলধারার বাণিজ্যিক-সব ঘরানার ছবিতেই নামজাদা অভিনেতা হিসাবে তকমা আদায় করে নিয়েছিলেন ইরফান খান। মার্কিন মুলুক থেকে বলিউড, সব জায়গাতেই অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল ক্যানসারে ভুগে প্রয়াত হন ইরফান। সম্প্রতি, এই প্রয়াত অভিনেতার স্মৃতিচারণ করলেন বিশিষ্ট পরিচালক সুধীর মিশ্র।
সুধীরের পরিচালনায় ‘ইয়ে শালি জিন্দেগি’ ছবিতে কাজ করেছিলেন ইরফান। সেই কাজের অভিজ্ঞতা টেনে পরিচালক জানান কাজের ক্ষেত্রে ইরফানের মতো এমন নিঃস্বার্থ অভিনেতা তিনি আর দু'টি দেখেননি। সুধীরের কথায়, “ইরফান নিজের পারফর্ম্যান্স নিয়ে অত মাথায় ঘামাত না। ও জানতই ক্যামেরা চালু হলে ও ফাটিয়ে দেবে। ও বরং নিজের সহ-অভিনেতা, অভিনেত্রীদের অভিনয় খুঁটিয়ে লক্ষ্য করত। কারণ ও জানত, যদি একটি দৃশ্যে সবাই মিলে ভাল অভিনয় করে জমিয়ে দেয়, তবেই ওঁর অভিনয়টা দর্শকের চোখে পড়বে নইলে আস্ত দৃশ্যটাই মার খাবে। কতবার এমন হয়েছে ইরফান বলেছে ওঁর মুখের সংলাপ ওঁর সহ-অভিনেতাকে দিতে অথবা ছবি থেকে ওঁর অভিনীত কোনও দৃশ্যই ছেঁটে ফেলতে যাতে বাকিদেরও দেখেন দর্শক! শিল্পী হিসাবে এরকম ছিল ইরফান।
এখানেই না থেমে সুধীর মিশ্র আরও বলেন, “ইরফান কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে স্বার্থপর ছিল। স্বার্থপর বলতে ও চাইত হলিউডেও ওর পরিচিতি হোক। ওর খ্যাতি উত্তরোত্তর বেড়ে চলুক। বড্ড প্রাণবন্ত ছিল।” মজার সুরে 'হাজারো খোয়াইশে অ্যায়সি' ছবির পরিচালক বললেন, “একেবারেই একঘেয়ে ছিল না ও বরং বলব প্রচণ্ড দুষ্টু ছিল!”
তিন দশকের উপরের কর্মজীবনে ইরফান ৫০টির অধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ঝুলিতে অসংখ্য পুরস্কার। চলচ্চিত্র সমালোচক, সমসাময়িক অভিনয়শিল্পী ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞ তাকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী বলে গণ্য করেন।
