করিশ্মা কাপুরের সন্তানদের হয়ে যে আইনজীবী সঞ্জয় কাপুরের সম্পত্তির ভাগভাগি নিয়ে আইনি লড়াই লড়ছেন তিনি সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টকে শুক্রবার জানিয়েছেন যে অভিনেত্রীর মেয়ে, সামাইরার ফিজ দেওয়া হচ্ছে না। গত দুই মাস ধরে বাকি রয়ে গিয়েছে তাঁর ফিজ। সেই বিষয়ে এবার কী জানাল উচ্চ আদালত? 

সিনিয়র আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি করিশ্মা কাপুরের সন্তানদের হয়ে এই কেস লড়ছেন। তিনি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন যে যেহেতু করিশ্মা এবং সঞ্জয়ের সন্তান তাঁরা, তাই তাঁদের খরচ সঞ্জয়েরই বহন করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে প্রয়াত ব্যবসায়ীর সমস্ত সম্পত্তি, ইত্যাদির দেখভাল করছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী প্রিয়া কাপুর। তাঁদের এই আবেদন শুনে বিচারপতি জ্যোতি সিং সোজাসুজি জানিয়ে দেন, 'আমি চাই না এই শুনানি মেলোড্রামায় পরিণত হোক।' 

যদিও করিশ্মা কাপুরের আইনজীবী এই দাবি করতেই প্রিয়া কাপুরের তরফে যিনি এই কেস দেখছেন, সেই আইনজীবী রাজীব নায়ার জানান, অভিনেত্রীর মেয়ে সামাইরা যিনি আমেরিকায় পড়াশোনা করছেন তাঁর সমস্ত খরচ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও বকেয়া কিছু নেই। এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। তিনি এদিন এও দাবি করেন যে এই দাবি তোলা হচ্ছে বা অভিযোগ করে হচ্ছে স্রেফ একটাই কারণে, যাতে বিষয়টা সংবাদমাধ্যমের নজরে আসে। খবরের কাগজে ছাপা হয়। 

এদিন শুনানিতে বিচারপতি জ্যোতি সিং সাফ সাফ প্রিয়া কাপুরের অন্যতম আইনজীবী শেল ত্রেহানকে বলেন, আগামীতে যেন কখনও এই ধরনের বিষয় নিয়ে কোর্টে না আসা হয়। তাঁর কথায়, 'এই বিষয়ে আমি ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় খরচ করতে চাই না। আমার কোর্টে এই প্রশ্ন যেন আর কখনও না আসে। এই শুনানি যেন ফের মেলোড্রামায় পরিণত না হয়।' 

কিন্তু কী নিয়ে এত জট? এদিন আদালতে প্রিয়া কাপুরকে সঞ্জয় কাপুরের সম্পত্তির হস্তান্তর থেকে বিরত রাখার জন্য করিশ্মা কাপুরের সন্তানদের তরফে যে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়েছিল সেটার শুনানি ছিল। 

চলতি বছরের জুন মাসে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন সঞ্জয় কাপুরের। ২০২৫ সালের জুন মাসে পোলো খেলার সময় লন্ডনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সঞ্জয়। তারপর করিশ্মার দুই সন্তান সামাইরা এবং কিয়ান তাঁদের মৃত বাবার ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ন্যায্য দাবি জানিয়ে কোর্টে গিয়েছিল। ২০০৩ সালে সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন করিশ্মা। কিন্তু তাঁদের সেই বিয়ে সুখের হয়নি। স্বামীর নামে একাধিক অভিযোগ আনেন তিনি। ২০১৬ সালে অবশেষে খাতায় কলমে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাঁরা।