সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউডের ‘বিতর্কের রাজা’ রাম গোপাল ভার্মা আবারও শিরোনামে! নিজের একটা ভুল টুইট তাকে প্রায় জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছিল, কিন্তু গল্পের মোড় ঘুরল একেবারে সিনেমার মতো! পরিচালকের কথায়, “৪-৫ বছর আগে আমি কিছু টুইট করেছিলাম, পরে ভুলেই গিয়েছিলাম! হঠাৎ মহেশ ভাট স্যার ফোন করে বললেন, ‘রামু, তোর টুইট নিয়ে ঝড় উঠেছে ! কিন্তু ব্ল্যাসফেমি (ধর্ম নিন্দা) ভারতের আইনে অপরাধ নয়!’ এদিকে সেসব শুনে তো আমি থ! বুঝেই উঠতে পারছিলাম না কোন টুইটের কথা বলা হচ্ছে।”
কিন্তু সমস্যা ছিল আরও বড়! রাম গোপাল বর্মার বিরুদ্ধে ৬-৭টা মামলা দায়ের হয়ে যায়। পুলিশ সরাসরি তার অফিসেও এসে হাজির হয়েছিল। পরিচালকের কথায়, “আমার বিরুদ্ধে ৬-৭টা কেস হয়েছিল! পুলিশ এসেছিল গ্রেফতার করতে, কিন্তু ভাগ্যের খেল, ওইদিনই কোর্ট ওই আইন বাতিল করে দিল। পুলিশ এসে দেখল, তাদের আর কিছু করার নেই! তারপর? তারা আমার সঙ্গে বসল, মদ্যপান করল, জমিয়ে আড্ডা দিল আর তারপর হাসিমুখে চলে গেল!" কথাশেষে রাম গোপাল ভার্মা অকপটে স্বীকার করলেন—"সবসময় না বুঝেই টুইট করি! তবে মাঝে মাঝে শুধু লোককে চটানোর জন্যও করি!”
সত্যিই কি রামু ইচ্ছা করেই বিতর্ক উসকে দেন না কি এটি তার স্রেফ ‘মজা’ করার একটি উপায়?
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে সমাজমাধ্যমে রাম চরণ ও কিয়ারা আদবানি অভিনীত ছবি ‘গেমচেঞ্জার’ -এর নির্মাতাদের ‘মিথ্যাবাদী’ বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন 'সত্যা' ছবিখ্যাত এই পরিচালক। কটাক্ষ করে জানিয়েছিলেন, রাজামৌলি, সুকুমারের মতো পরিচালকেরা যেখানে তেলেগু ছবির উত্থান রকেটের গতিতে করিয়েছেন সেখানে এই গেম চেঞ্জার ছবির নির্মাতারা তেলেগু ছবির ইন্ডাস্ট্রিকে মিথ্যাবাদী হিসাবেও দারুণভাবে দাগিয়ে দিতে পেরেছেন এই খবর ছড়িয়ে। একই সঙ্গে রামু আরও জানান যে ছবির প্রযোজক যে এসব ‘মিথ্যা খবর’ ছড়ানোর মধ্যে নেই তা তিনি ভাল করেই জানেন। কারণ ওই ব্যক্তি অত্যন্ত ভদ্রলোক ও সৎ। তাহলে কে রয়েছে এইসবের পিছনে? প্রশ্ন তুলেছিলেন রামু।
