সংবাদ সংস্থা মুম্বই: পর্দায় তিনি এলেই প্রেক্ষাগৃহে অবিরামভাবে চলতে থাকে পায়রা ওড়ানোর শব্দ। সঙ্গে অনুরাগীদের কানফাটানো চীৎকার তো আছেই। তিন দশকের উপর সময় ধরে সলমন খান-এ বুঁদ আসমুদ্রহিমাচল ভারত। তা সলমন নিজে কি আদৌ নিজের অভিনীত চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলার জন্য পরিশ্রম করেন? অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে নাড়াঘাঁটা করেন? 'টাইগার'-এর অভিনয়ের গোপনি রেসিপিটা আদতে ঠিক কী, সেসব নিয়েই মুখ খুললেন পরিচালক সূরয বারজাতিয়া।

'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া', 'হাম আপকে হ্যায় কৌন, 'হম সাথ সাথ হ্যায়'-এর মতো একাধিক বক্স অফিস সফল ছবিতে সূরযের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন সলমন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার এই পরিচালক সলমনের অভিনয়ের প্রসঙ্গে বললেন, " সলমন ভাই ভীষণ ন্যাচারাল।বিন্দাস থাকেন। বিন্দুমাত্র চিন্তা করেন না তার বিষয়ে অন্যরা কে কী ভাবলেন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে অভিনয় করেন।  আর ঠিক এটাই ওঁর সবথেকে বড় গুণ। এই কারণেই সমাজের বিভিন্ন স্তরের দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন সলমন ভাই। এমন কিন্তু নয় যে নিজের অভিনীত চরিত্রটিকে নিয়ে সলমন খাটাখাটি করেন না। যথেষ্ট করেন সেটা ওঁর অভিনয় দেখলেই বোঝা যায়। আর একটু বলি, যখন ওঁকে কোভিদ চিত্রনাট্য শোনাতে যাই, উনি একমনে আমার পড়া শোনেন। এরপর সেটে এসে চারপাশ ভালোভাবে লক্ষ্য করেন। ওর থেকে কী চাওয়া হচ্ছে, সেটা মন দিয়ে শোনেন। সবার সঙ্গে হালকা চালে গল্পগুজব করেন... এমন পরিবেশ সৃষ্টি করেন যাতে ওর উপস্থিতিতে কোন আশঙ্কা অস্বস্তি কারও মনে কাজ না করে। ব্যস, তারপর ক্যামেরার সামনে ডেলিভারি করেন। "

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে সালমানের সিকান্দার ছবি বড়পর্দায় মুক্তি পাবে। এ আর মুরুগাদসের পরিচালনায় এই অ্যকশন-থ্রিলারে সলমনের বিপরীতে দেখা যাবে রশ্মিকা মন্দানাকে। সম্প্রতি, এই ছবির একটি পোস্টার মুক্তি পেয়েছে সমাজমাধ্যমে।