দক্ষ অভিনেতা। দুই বাংলায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। ওপার বাংলার সেরা অভিনেতাদের মধ্যে প্রথম সারিতেই উঠে আসে তাঁর নাম। তাঁর ভক্তের সংখ্যাও ঈর্ষণীয়। তিনি, চঞ্চল চৌধুরী। এমনিতে নিজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে খুব বেশি কথা বলেন না অভিনেতা । তবে এ বার দাম্পত্যজীবনে নিজের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরলেন সমাজমাধ্যমের পাতায়! তারপর সরাসরি ক্ষমা চাইলেন স্ত্রী শান্তা চৌধুরীর কাছে।
আসলে, প্রেম করে তাঁদের বিয়ে। ১৮ বছর হয়ে গেল সংসার পেতেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তাঁর স্ত্রী শান্তা পেশায় চিকিৎসক। অভিনেতার ব্যস্ত জীবনকে গুছিয়ে দিয়েছেন তিনিই। কাজের সুবাদেই বাড়িতে প্রায় থাকাই হয় না তাঁর। সময় দিতে পারেন না স্ত্রী কিংবা পরিবারকে। ব্যস্ততার দরুণ অনেকসময় ভুলে গিয়েছেন নিজেদের বিবাহবার্ষিকীর তারিখ, সাল পর্যন্ত! এবারেও তাই হল। তবু তাতে বিন্দুমাত্র রেগে যাননি অভিনেতার স্ত্রী। বরং ভালবেসে তিনি চঞ্চলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁদের দাম্পত্যের সূচনার এই বিশেষ দিনটির তারিখ। আর তারপরেই অপরাধবোধ, লজ্জাবোধ কুরে কুরে খেয়েছে এই জনপ্রিয় অভিনেতাকে। সেই ভাবনা থেকেই একটি নাতিদীর্ঘ লেখা পোস্ট করেন চঞ্চল। স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে, তাঁকে ভালবাসা-শুভেচ্ছায় ভরিয়ে...

স্ত্রীর সঙ্গে নিজের বহু বছর আগের তোলা একটি ছবি পোস্ট করেছেন চঞ্চল। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের সন্তান শুদ্ধ-কেও। যদিও শুদ্ধ তখন একরত্তি। সেই ফেসবুক পোস্টে চঞ্চল লিখলেন -
“এই ছবিটা অনেক বছর আগের…..!!!
আজ থেকে প্রায় পনেরো বছর আগের তোলা।সম্ভবত কোন এক পত্রিকার ফটো সাংবাদিক বাসায় এসে ছবিটা তুলেছিলেন।
ছবিতে আমাকে,আমার স্ত্রী শান্তা এবং আমাদের ছেলে শুদ্ধকে দেখা যাচ্ছে॥
শুদ্ধ তখন অনেক ছোট….
আসল কথাই বলতে ভুলে গেছি……
আজ যে আমাদের বিয়ের দিন,সেটাও যেমন ভুলে গেছিলাম….কত তম সেটাও মনে করতে পারছি না!!!
কিছুক্ষন আগে শান্তা যখন কিছু একটা লিখে মনে করালো,ভেতরে কিছুটা লজ্জা এবং অপরাধ বোধও কাজ করছিলো!!!
সত্যিরই আমার মনে ছিলো না……
প্রায় বছরই এরকম ঘটে!!!!
অভিনেতা হিসেবে কিছুটা সফল হলেও,সাংসারিক জীবনে কিন্তু আমার ব্য র্থতার শেষ নেই।
আর ভুলে যাওয়াটা আমার একটা অসুখের মত!!!!
এত কিছুর পরেও সেখান থেকে তেমন কোন বড় অভিযোগ আসেনা বলেই…এখনো টিকে আছি!!!!!
ধন্যবাদ শান্তা…..
শুভ বিবাহ বার্ষিকী”

অন্যদিকে খবর, অমিত মুখোপাধ্যায়ের প্রযোজনায়, অমিতাভ ভট্টাচার্যর পরিচালনায় ত্রিধারা ছবিতে অন্যতম মুখ্যচরিত্রে থাকতে পারেন চঞ্চল। এই ছবির কাহিনিও তাঁর লেখা। সূত্রের খবর, ছবির মুখ্য তিন চরিত্রে দেখা যেতে পারে কৌশিক গাঙ্গুলি, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও চঞ্চল চৌধুরীকে।যদিও এই ছবির ভাবনা এখন প্রাথমিক পর্যায়ে। চলছে কথাবার্তা, তাই এখনই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ছবির নির্মাতারা।গল্পের মোড়ে একটি ঘটনায় তিন তারকার জীবন বদলে যাবে। হঠাৎই সবকিছু ওলটপালট করে ফিরে আসবে ২৫ বছর আগের হারিয়ে যাওয়া প্রেম।

এরপর তিন খাতে বইবে তিনজনের গল্প, এই নিয়েই তৈরি হবে 'ত্রিধারা'। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আবারও এপার বাংলার ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে। অন্যদিকে, কৌশিক গাঙ্গুলি ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে এটাই হতে চলেছে তাঁর প্রথম কাজ।
