করিনা কাপুর খান এবং অর্জুন রামপাল। বলিউডের অন্যতম দুই সুর্দশন তারকা। পর্দায় যে তাঁদের রসায়ন চাক্ষুষ করার মতো হবেই, তা আর নতুন করে বলে দিতে হয় না। ২০১২ সালে মধুর ভান্ডারকরের হিরোইন ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করছিলেন তাঁরা। শেষমেশ নায়ক-নায়িকার মিলন লেখা না হলেও, প্রেমের দৃশ্যগুলির রেশ ছিল দীর্ঘমেয়াদি।

এক সাক্ষাৎকারে অর্জুন বলেছিলেন, "বেবোর (করিনার ডাকনাম) সঙ্গে পর্দায় অন্তরঙ্গ হতে ভাল লেগেছে। এখনও ওর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলিতে অভিনয় করার স্মৃতি মনে করে চলেছি।" মধুরের ছবিতে করিনার প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অর্জুন। সেই প্রেমকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেই পর্দায় বেশ কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্য রাখা হয়েছিল।

অর্জুনের সেই সাক্ষাৎকার ফের চর্চায় উঠে এসেছে। করিনাকে নিয়ে তাঁর মন্তব্যটিকে ভাল ভাবে নেননি দর্শকদের একাংশ। জনৈক রেডিট ব্যবহারকারী লেখেন, 'ওঁর (অর্জুনের) এই মন্তব্য খুবই অদ্ভুত এবং অপেশাদার'। অন্য একজন আবার লিখেছেন, 'সেই সময় মনে হয় সকলেই এই ধরনের কথাবার্তা বলতে কোনও রকম দ্বিধাবোধ করতেন না।' আবার কেউ কেউ মনে করছেন, অভিনেতা আসলে এসব বলতে চাননি। নিছকই হয়তো ছবির প্রচারের কারণে এই ধরনের 'সস্তা' কৌশল বেছে নিতে হয়েছিল তাঁকে। কারণ অনেক সময়ই বিতর্ক একটি ছবিকে বক্স অফিসে অনেকটা এগিয়ে দেয়।

২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিরোইন-এ করিনা কাপুর খান এবং অর্জুন রামপালের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন রণদীপ হুদা, মুগ্ধা গডসে এবং দিব্যা দত্ত-সহ আরও অনেকে। এই ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছিল মাহি নামে এক অভিনেত্রীকে ঘিরে। যে তার বিবাহিত প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। সে হতাশায় ডুবে যায়। এবং শেষ পর্যন্ত তার কেরিয়ারও শেষ হয়ে যেতে বসে। তবে মধুরের সব ছবির মতোই এক্ষেত্রেও নায়িকা ফের ঘুরে দাঁড়ায়। শুরু করে নতুন জীবন। করিনার সেই বিবাহিত প্রেমিকের ভূমিকাতেই দেখা গিয়েছিল অর্জুনকে।

আরও পড়ুন: টেলিভিশনে 'ঘর ওয়াপসি' মধুমিতার! কাজের সঙ্গেই বিয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে! বিশেষ দিনের সাজ কেমন হবে, মেনুতেই বা কী কী

তবে শুধু অর্জুনই নন, করিনাকে নিয়ে অক্ষয় কুমারও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন সেন্সর বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য পহলাজ নিহলানি। তিনি বলেছিলেন, “আগে প্রযোজক এবং পরিচালক ছবির কাস্টিং করত, নায়কেরা হস্তক্ষেপ করত না। কিন্তু প্রথমবার তালাশ-এ অক্ষয় কুমার বলল, ‘কাল থেকেই শুটিং শুরু করতে পারি আমি, কিন্তু নায়িকা চাই—করিনা কাপুর-কেই!’” ২০০২-০৩ সালের সময়কার ২২ কোটির মেগা বাজেটের তালাশ সিনেমা, সে সময়কার অন্যতম ব্যয়বহুল প্রোজেক্ট ছিল। নিহলানির কথায়, “আমার কেরিয়ারে সেই প্রথমবার কোনও নায়ক কাস্টিং নিয়ে শর্ত দিল। অক্ষয় বলল করিনা ছাড়া সিনেমার শুটিং শুরুই হবে না। কারণ, সে চেয়েছিল তরুণ নায়িকার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে নিজেকে কম বয়সী দেখাতে! ”

২৫ বছর ধরে বলিউডের অংশ হলেও, পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলিও করিনা মূলত এড়িয়ে গেছেন। চলতি বছরের শুরুতে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান যে, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সময় এটি তাঁর একটি সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল।

আপাতত, কাজ এবং পরিবার নিয়ে ব্যস্ত করিনা। একের পর এক ছবির পাশাপাশি সংসারও সামলাচ্ছেন দিব্যি।