টেলিভিশনের জনপ্রিয় তারকা জুটি জ্যাসমিন ভাসিন এবং আলি গোনি ভক্তদের কাছে বরাবরই আদর্শ দম্পতির উদাহরণ হিসাবে পরিচিত। নিজেদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ঝলক শেয়ার করে তাঁরা নিয়মিত ‘কাপল গোলস’ দিয়ে থাকে। একসঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতেও পিছপা হন না। সম্প্রতি এই তারকা জুটি মুম্বইয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে গণেশ চতুর্থী উদযাপন করেছেন। উৎসবের নানা ছবি এবং ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাঁদের আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায়।
তবে একটি নির্দিষ্ট ভিডিওকে ঘিরে আলিকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ভিডিওয় (সত্যতা আজকাল ডট ইন যাচাই করেনি) দেখা যায়, জ্যাসমিন তাঁকে বারবার অনুরোধ করলেও আলি ‘গণপতি বাপ্পা মোরয়া’ উচ্চারণ করছেন না। এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। কেউ কেউ তাঁকে সনীরব থাকার জন্য সমালোচনা করেছেন, আবার অনেকে তাঁর পক্ষে সওয়াল করে বলেছেন, তিনি যা খুশি করার স্বাধীনতা রাখেন।
ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “সে ভাল মানুষ নয়। জ্যাসমিন কেন তার সঙ্গে আছে বুঝতে পারছি না!” আরেকজন লিখেছেন, “এত অস্বস্তি লাগছে যদি, তবে এসেছেনই বা কেন? জ্যাসমিনের ভেবে দেখা উচিত।”
অন্য দিকে, আলির পক্ষে সাফাই গেয়ে অনেকে লিখেছেন, “ভুল কথা.. শুধু গান গাওয়ার সময় সে তাঁর গাল টেনেছিল, তাতে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।” আবার আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “মানুষদের কী হয়েছে! ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা জানানোর একমাত্র উপায় কি শুধু স্লোগান দেওয়া? তিনি কতটা আনন্দের সঙ্গে উৎসবে অংশ নিচ্ছেন সেটা কি আমরা দেখতে পাচ্ছি না? ধর্মের নামে মানুষকে হয়রানি করা বন্ধ করুন।”
জ্যাসমিন এবং আলির প্রেমের সূত্রপাত হয়েছিল ‘বিগ বস ১৪’-তে। ভিন্ন ধর্মের হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের সম্পর্ক সব সময় অনুরাগীদের বিপুল সমর্থন পেয়েছে। কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে জ্যাসমিন এই সমালোচনা নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্ক আমাদের দু’জনের মধ্যে। আমাদের বোঝাপড়া রয়েছে, আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। আমরা একে অপরের সঙ্গে একটা ঐক্যের জায়গায় পৌঁছেছি। এবং আমরা যেমন, সেভাবেই একে অপরকে মেনে নিয়েছি। আমাদের মধ্যে সব কিছু পরিষ্কার, তাই অন্য কারও মতামতের কোনও গুরুত্ব নেই। তবুও যদি কারও নেতিবাচক মতামত আমাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে, তবে সেটা তাঁদের লজ্জার বিষয়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই পৃথিবীর প্রয়োজন ভালবাসা আর ইতিবাচকতা। যদি দু’জন মানুষ খুশি থাকে, তবে অন্যরা তাদের নির্বোধ মতামত নিজেদের মধ্যেই রাখুক। আর এত যদি বুদ্ধি থাকে, তবে আগে নিজেদের জীবন গুছিয়ে নিক। এটা আমাদের জীবন, আর আমরা নিজেরাই তা সামলে নেব।”
