সংবাদ সংস্থা, মুম্বই: সলমন খান এবং ঐশ্বর্যা রাই। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকের অন্যতম চর্চিত জুটি। তাঁদের প্রেম, বিচ্ছেদ, তারপর একে অপরের মুখ না দেখা— সব মিলিয়ে সেসময় প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকতেন দুই তারকা। এরপর পেরিয়ে গিয়েছে বহু বছর। দু’জনের জীবনের পথই নতুন বাঁক খুঁজে নিয়েছে। কিন্তু আজও সলমন ও ঐশ্বর্যকে আলোচনার শেষ নেই।
১৯৯৯ সালে ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেটে সলমন ও ঐশ্বর্যর প্রেমের শুরু। শোনা যায়, গোপনে সলমনের খানের সঙ্গে বিয়ে সেরেছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। এমনকি ধর্মান্তরও করেছেন নায়িকা। বিটাউনে গুঞ্জন ছড়ায়, লোনাভালার একটি বিলাসবহুল বাংলোতে তাঁদের বিয়ের আসর বসেছিল। ‘দম্পতি’কে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আত্মীয়স্বজনরা। এখানেই শেষ নয়, এরপর তাঁরা নাকি হানিমুনি নিউ ইর্য়ক যান! যদিও এই সব নিয়ে কখনও কোনও সত্যতা প্রকাশ্যে আসেনি।
এক সাক্ষাৎকারে সলমনের সঙ্গে বিয়ের গুঞ্জন পুরোপুরি মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেন ঐশ্বর্য। অভিনেত্রী স্পষ্ট বলেন, “বিয়ে হলে গোটা ইন্ডাস্ট্রির কাছে কি খবর থাকত না? খুব ছোট এই ইন্ডাস্ট্রি। আমি এমন মানুষ নই যে বিয়ের মতো বড় ব্যাপারকে অস্বীকার করব। বিয়ে হলে সকলেই জানতে পারবে। আমি গোটা দুনিয়াকে গর্বের সঙ্গে আমার বরের সঙ্গে পরিচয় করাব।এই গুজবগুলি সত্যিই হাস্যকর।”
২০০২ সালে ঐশ্বর্যা ও সলমনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পড়ে থাকে শুধুই তিক্ততা। সেই বিচ্ছেদ নিয়েও চর্চা কম হয়নি। ঐশ্বর্যের উপর অতিরিক্ত অধিকারবোধ, দুর্বব্যবহার, এমনকী গায়ে হাত তোলারও অভিযোগ ওঠে ভাইজানের বিরুদ্ধে। প্রথমে স্বীকার না করলেও পরে ঐশ্বর্য এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। সম্পর্কে ইতি টানার পর তাঁরা একসঙ্গে আর কখনও কাজ করেননি। এত বছরে বিটাউনের কোনও পার্টিতেও তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। ২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ঐশ্বর্য। ২০১১ সালে বচ্চন দম্পতির মেয়ে আরাধ্যার জন্ম হয়।
