সংবাদসংস্থা মুম্বই: দক্ষিণী ও বলিউড সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি হাসান। কিছুদিন আগেই সুপারস্টার রজনীকান্তের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘কুলি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। শিগগিরই ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এর বাইরে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন এই অভিনেত্রী। 

 

 

তিনি জানান, বিয়ের বিষয়ে তার মনে এক ধরনের ভয় কাজ করে। ‘বিয়ের ধারণাটি আমার কাছে খুবই ভয়ের,’ বলে মন্তব্য করেন শ্রুতি। আনুগত্য ও প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বাসী হলেও, সম্পর্ককে একটি কাগজের টুকরোর মাধ্যমে আইনি স্বীকৃতি দেওয়াকে অস্বস্তিকর বলে মনে করেন শ্রুতি। তবে বিয়ে নিয়ে দ্বিধা থাকলেও এই অভিনেত্রীর দীর্ঘদিনের ইচ্ছা তিনি মা হবেন। তবে সন্তানের যথাযথ লালন-পালনের জন্য দুই অভিভাবকের উপস্থিতিও প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এমনকী ভবিষ্যতে মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে দত্তক নেওয়াকেও একটি সম্ভাবনা হিসেবে বিবেচনা করছেন শ্রুতি।

 

আরও পড়ুন: 'বিয়ের মাত্র সাত দিনের মাথায়...!' একদম কম বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন শিবাঙ্গী, অতীত নিয়ে কোন গোপন সত্যি ফাঁস করলেন ‘আঙুরি ভাবি’?

 

দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসানের মেয়ে শ্রুতি হাসান। বলিউডে কিছু ছবিতে কাজ করলেও সাফল্য তাঁকে সেভাবে ছুঁতে পারেনি। তবে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর বেশ নামডাক আছে। সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয় অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত জীবনের নানা মুহূর্ত তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা সে প্রেমের সম্পর্ক হোক বা বিচ্ছেদের কারণ। এমনকী বোল্ড ফটোশুটের নানা নজিরও ধরা পড়ে শ্রুতির সমাজমাধ্যমে। সম্প্রতি, মুম্বই সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন। যদিও খুব বেশি রাখঢাক কখনই করেন না কমল কন্যা শ্রুতি হাসান। তাঁর কথায়, 'যখন আমি কোনও সম্পর্কে জড়াই তখন সেখানেই সর্বস্বটুকু দিই। কিন্তু, যখন আমি সেই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসি তখন অনেক দূরে চলে যাই। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কিন্তু, এইরকম প্রাক্তন আছে। তবে আমি কোনওরকম অনুশোচনা ছাড়াই সেই অধ্যায়টা থেকে মুক্ত হই।'

 

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, "অনেকেই খোঁচা মেরে জিজ্ঞাসা করেন, এটা কত নম্বর প্রেমিক? এটা অন্যদের কাছে শুধুমাত্র একটা সংখ্য। কিন্তু, আমার মনে করি এই সংখ্যা আমাকে সেই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাটা মনে করিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে নতুন প্রেমের বিষয়টিও আর এগোয় না। আমি কিন্তু, মা-বাবাকে বা কাউকেই কখনও এই ব্যাপারে দোষারোপ করি না। সবসময় সকলের সব ধারণা বদলে ফেলা যায় না। তাই এগুলো এখন আর খারাপ লাগে না। তবে মানুষ তো, তাই কিছুটা হলেও আঘাত পাই আবার নিজেকে সামলে নিই।' সম্পর্কের ভাঙা-গড়া থেকে তিনি যে অনেক শিক্ষা পেয়েছেন সেই কথাটা স্বীকার করেন শ্রুতি। আরও একটি মনের কথা বলেছেন, কাছের মানুষরা যখন অতীত নিয়ে কাঁটাছেড়া করেন তখন কষ্ট পান। 

 

 

ওই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী আরও বলেন, "অনেকসময় নিজের অজান্তেই হয়তো অনেককে আঘাত দিয়ে ফেলেছি। যাঁরা আমার খুব কাছের মানুষ তাঁদের কাছে বারবার ক্ষমা চাইতে আমার কোনও সমস্যা নেই। তবে বাকিদের ক্ষেত্রে আমার কোনও আফসোস নেই।"