আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের খুচরো বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার গত আট বছরের মধ্যে জুলাই মাসে সবথেকে কম (১.৭৬ শতাংশ)। বাড়তে থাকা জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমে আসায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের পোল অফ ইকনমিস্টসের একটি রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বেঁধে দেওয়া ২-৬ শতাংশ সহনশীলতার মাত্রার সর্বনিম্নের থেকেও কমে নেমে আসতে পারে খুচরো বাজারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি।

অসম বর্ষা সত্ত্বেও, বসন্তের শক্তিশালী ফসল ভারতকে খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করেছে। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসকারী ধারা বজায় ছিল। আরবিআই রেপো রেট ৫.৫০ শতাংশে অপরিবর্তত রেখে বলেছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি আরও স্বস্তি দেবে বাজারে।

আরও পড়ুন-  ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপে জোর ধাক্কা, ভারত থেকে অর্ডার বন্ধ করল অ্যামাজন-ওয়ালমার্ট: সূত্র

জুন মাসে উপভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিাই) বার্ষিক পরিবর্তন হার ছিল ২.১০ শতাংশ। যা জুলাই মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭৬ শতাংশে। ৪১ জন অর্থনীতিবিদকে দিয়ে ৪-৮ অগাস্ট পর্যন্ত আর্থিক সমীক্ষায় মধ্যবর্তী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিপিআইয়ের হার ১.১০ থেকে ৩.১০ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে। যদি অনুমান সঠিক হয়, তাহলে টানা নবম মাসে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে।

আরও পড়ুন-  সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সেরা সুযোগ, ফিক্সড ডিপোজিটে আকর্ষণীয় সুদ দিচ্ছে এই ব্যাঙ্কগুলি

এইচডিএফসি ব্যাঙ্কেরঅর্থনীতিবিদ সাক্ষী গুপ্তা বলেন, "আমরা আশা করছি খাদ্যপণ্যের দামবৃদ্ধির হার কমবে। গতবছর উৎপাদন ভারসাম্য খুবই ভাল থাকায় এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির হারে অবনমন ঘটবে। তবে মাসের হিসাব ধরলে কিছু সবজিপাতির দাম বেড়েছে।" উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যেমন- পেঁয়াজ এবং টম্যাটোর দাম। তবে এই বৃদ্ধির হার খুবই মধ্যমানের এবং কম, তার কারণ এগুলি মরসুমি আনাজ।

সাম্প্রতিক রয়টার্সের একটি পৃথক সমীক্ষায় অনুমান যে, চলতি আর্থিক বছরে মুদ্রাস্ফীতির হার গড়ে ৩.৪০ শতাংশে থাকতে পারে। কিন্তু, হার নিম্নমুখী হওয়া দেশের অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনে আরবিআইয়ের পক্ষে সহায়ক হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কচাপের পরিবেশে খুচরো বাজারের এই স্বস্তি দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত রাখবে বলে আশা।