আজকাল ওয়েবডেস্ক: সকলেই নিজের অবসর নিয়ে চিন্তাভাবনা করে থাকেন। সেখানে যদি সঠিকভাবে প্রথম থেকে বিনিয়োগ করা যায় তাহলে সেখানে আপনি সঠিক সময় ভাল টাকা রিটার্ন পেতে পারেন। তবে এটা অনেকেই জানেন না কীভাবে অবসরে আপনি মাসে ১ লাখ টাকা ঘরে বসেই পেতে পারেন। সেখানে আপনি কোথায়, কত টাকা বিনিয়োগ করবেন সেটাই সবার আগে আপনাকে নজরে রাখতে হবে।
এখানে আপনাকে একটি সহজ হিসেব দেওয়া হল। আপনার বয়স যদি ২৫ বছর হয় তাহলে আপনি আগামী ৩৫ বছরকে টার্গেট করতে পারেন। সেখানে মাসিক এসআইপি দিতে হবে ৫ হাজার টাকা। তাহলেই ১২ শতাংশ সুদ হিসেবে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ২১ লাখ টাকা। ফলে ৬০ বছরে যখন আপনি গিয়ে পৌঁছবেন তখন আপনার মোট টাকা হবে ৬০ কোটি। সেখানে আপনি মাসে সুদ পাবেন ৩.২৫ লাখ টাকা।
আপনার বয়স যদি ৩৫ বছর হয় তাহলে আপনাকে ২৫ বছর ধরে বিনিয়োগ করতে হবে। সেখানে আপনাকে মাসে ১০ হাজার টাকা এসআইপিতে বিনিয়োগ করতে হবে। সুদের হার থাকবে ১২ শতাংশ করে। ফলে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ৩০ লাখ টাকা। সেখানে ৬০ বছর পর আপনি মাসে ১.৯ লাখ টাকা পেতে পারেন।

যদি আপনার বয়স ৪৫ বছর হয় তাহলে সেখানে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে ১৫ বছর। আপনাকে মাসে এসআইপি-তে বিনিয়োগ করতে হবে ২৫ হাজার টাকা করে। সুদ পাবেন ১২ শতাংশ করে। আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ৪৫ লাখ টাকা। সেখানে ৬০ বছরের পর আপনি মাসে ১.২৬ লাখ টাকা করে পাবেন।
মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যম যেখানে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি পুল তৈরি করা হয় এবং সেই অর্থ বিভিন্ন সিকিউরিটিজ, যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে।

মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা বিভিন্ন সিকিউরিটিজে (যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি) বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়, যা তাদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মিউচুয়াল ফান্ডগুলি অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা বাজারের ওঠানামাকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সাধারণত সহজে কেনা-বেচা করা যায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক।
আরও পড়ুন: জেন জি-র সমস্ত শক্তি লুকিয়ে আছে এখানেই, আজ থেকে আপনিও করে দেখতে পারেন, তাহলেই...
মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন - ইক্যুইটি ফান্ড (Equity fund), Debt Fund, এবং হাইব্রিড ফান্ড (Hybrid fund)। এই ফান্ডগুলি মূলত স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা থাকে। এই ফান্ডগুলি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল রিটার্ন প্রদান করে।এই ফান্ডগুলি ইক্যুইটি এবং ডেট উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করে, যা ঝুঁকি এবং রিটার্নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।
তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যেখানেই বিনিয়োগ করবেন সেখানেই আপনি আগে থেকে সমস্ত তথ্য ভাল করে দেখে নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি বিনিয়োগ করতে গিয়ে আপনার কোনও সমস্যা হয় বা যদি আপনি কোনও আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়েন তাহলে তার দায় আজকাল ডিজিটাল নেবে না।
