আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনেক আয়করদাতা মনে করেন যদি একবার তারা রিটার্ন ফাইল জমা দেন তাহলে সেখানে আর কোনও সংশোধন করা যায় না। ছোটোখাটো ভুল তো হতেই পারে। তবে এটা অনেকেই জানেন না আয়কর দপ্তর আপনাকে নিজের ভুল সংশোধন করার সুযোগ দেয়। রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ উতরে গেলেও আপনি নিজের রিটার্ন সংশোধন করতে পারেন।


এখানে সবথেকে দামী প্রশ্ন হল এই কাজটি কতটা সহজ। আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পর কতবার সেটি সংশোধন করা যায়। আপনার জমা করা রিটার্ন নানা কারণে ভুল হতে পারে। অনেক করদাতা নিজের আয়ের উৎস জানাতে ভুলে যান, অনেকে করের হিসেব সঠিকভাবে করতে ভুলে যান। এই কারণেই আয়কর দপ্তর আপনাকে ভুল সংশোধনের সুযোগ দেয়।


তবে আয়কর দপ্তর যে বিষয়ে বেশি জোর দেয় সেটি হল আপনার ভুল যেন অহেতুক না হয়। যদি অযথা আপনি ভুল করেন তাহলে সেটি সহজে সংশোধন করা যাবে না। আপনার ভুলটি যদি অনিচ্ছাকৃত হয় তাহলে আপনি অতি সহজেই আপনি সেটি সংশোধন করতে পারবেন।


বিশেষজ্ঞরা মনে করেন নিজের ভুল সংশোধন করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। এমন কোনও বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা দেয়নি আয়কর দপ্তর। এই কাজটি আপনি অতি সহজেই অনলাইনেও করতে পারেন। সেই সুবিধাও থাকছে আপনার কাছে।


আয়কর রিটার্নে কোনও ভুল, তথ্য বাদ পড়া বা সংশোধনের প্রয়োজন হলে করদাতারা রিভাইজড রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আয়কর বিভাগের ই-ফাইলিং পোর্টালে লগইন করতে হবে। লগইন করার পর সংশ্লিষ্ট অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের জন্য ‘রিভাইজড রিটার্ন ফাইল’ করার অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এসময় আগে জমা দেওয়া রিটার্নের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর এবং রিটার্ন দাখিলের তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।


এরপর আয়, ডিডাকশন, ছাড় বা অন্য যে কোনও ভুল তথ্য প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন বা নতুন তথ্য যোগ করতে হবে। সমস্ত পরিবর্তন সম্পন্ন হওয়ার পর রিভাইজড রিটার্ন সাবমিট করতে হবে এবং ই-ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করলে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে। ই-ভেরিফিকেশন না হলে রিটার্ন বৈধ বলে গণ্য হয় না।

&t=2063s


সময় খুব সীমিত থাকায় করদাতাদের উচিত ইতিমধ্যেই দাখিল করা রিটার্ন ভালোভাবে যাচাই করা। আয়, সুদ, ক্যাপিটাল গেইন, ডিডাকশন এবং করছাড়ের তথ্য মিলিয়ে দেখা অত্যন্ত জরুরি। কোথাও ভুল বা অসঙ্গতি ধরা পড়লে দেরি না করে দ্রুত রিভাইজড রিটার্ন দাখিল করা বুদ্ধিমানের কাজ। সময়মতো সংশোধিত রিটার্ন জমা দিলে ভবিষ্যতে আয়কর নোটিস, জরিমানা এবং অপ্রয়োজনীয় মানসিক চাপ এড়ানো সম্ভব হবে।