আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ধাক্কা খেল আদালতে। বুধবার আমেরিকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক একটি আদালত জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প তাঁর যে আইনি বাধ্যবাধকতা, তার বাইরে বেরিয়ে কাজ করেছেন। অর্থাৎ, মার্কিন আইনসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না-করেই একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 


তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বজুড়ে স্টক মার্কেটে বিরাট প্রভাব পড়েছে। ভারতের স্টক মার্কেটও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। বৃহস্পতিবার দিনের শুরু থেকেই স্টক মার্কেটের অবস্থা ছিল অনেকটাই ভাল। সেখানে দিনের শুরুতেই সেনসেস্ক একধাক্কায় ৫০০ পয়েন্ট ওপরের দিকে উঠে যায়। অন্যদিকে নিফটিও ভাল নম্বর তুলে নেয়। 


শেয়ার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পকে রোখার ফলে এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে। সেখান থেকে দেখা গিয়েছে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ অনেকটাই বেড়েছে। পাশাপাশি দিনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীরা যে হারে বিনিয়োগ শুরু করেছেন তাতে সেখান থেকে এই মামলার মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত সেখানে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ বাড়বে। এটা একটি ভাল দিক।


উল্লেখ্য, এই ‘জরুরি পরিস্থিতি’র প্রসঙ্গ উত্থাপন করেই আদালতে শুল্কনীতি বলবৎ করার পক্ষে সওয়াল করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এক্ষেত্রে ১৯৭৭ সালের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট’কেও ঢাল করা হয়। কিন্তু আদালতের তিন বিচারক জানিয়ে দেন, আপৎকালীন এই আইনও প্রেসিডেন্টকে অন্য দেশের উপর শুল্ক আরোপ করে আমেরিকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার চূড়ান্ত ক্ষমতা দেয় না।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই আইন জরুরি অবস্থায় প্রেসিডেন্টকে কেবল কিছু প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা দিয়েছে। এর অতিরিক্ত কিছু নয়।


গত ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের উপর ‘পাল্টা’ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন, যে দেশ আমেরিকার পণ্যের উপর যত পরিমাণ শুল্ক চাপায়, ঠিক তত পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হবে সংশ্লিষ্ট দেশের রফতানি করা পণ্যে। আমেরিকায় রফতানি করা সমস্ত পণ্যে ১০ শতাংশ বনিয়াদি কর চাপানো হয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি ছিল, এর ফলে আমেরিকার স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ভারতের উপরেও চাপানো হয় ২৬ শতাংশ বাড়তি শুল্ক। তার পর এই সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই।