আজকাল ওয়েবডেস্ক: ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (NPCI) ট্যাক্স প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ক্যাটাগরির আওতাধীন সংস্থাগুলোর জন্য লেনদেনের সীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ করেছে, যা কার্যকর হবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। ২৮ আগস্ট প্রকাশিত NPCI-র সার্কুলারে বলা হয়েছে, যেহেতু UPI এখন একটি পছন্দের পেমেন্ট মাধ্যম হিসেবে উঠে এসেছে, তাই বাজার থেকে বিভিন্ন ধরণের লেনদেনের জন্য প্রতি-লেনদেন সীমা বাড়ানোর চাহিদা উঠেছে।
কার জন্য প্রযোজ্য
এই বাড়তি UPI সীমা কেবলমাত্র সেইসব যাচাইকৃত (verified) মার্চেন্টদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
অধিগ্রহণকারী (acquiring) সদস্য ব্যাংকগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে, কেবল NPCI নির্দেশিকা মেনে চলা মার্চেন্টদের জন্যই এই সুবিধা দেওয়া হবে। তবে NPCI স্পষ্ট করেছে যে, সদস্য ব্যাংকগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ নীতির ভিত্তিতে নিজস্ব সীমা ঠিক করতে পারবে, তবে সেটি সর্বোচ্চ নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে।
যেসব ক্যাটাগরিতে সীমা বাড়ানো হয়েছে ৫ লক্ষের সীমা:
ক্যাপিটাল মার্কেট
ইন্স্যুরেন্স
গভর্নমেন্ট ই- মার্কেটপ্লেস
ট্রাভেল
ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট
কালেকশনস
ব্যবসা/মার্চেন্টস (প্রি-অ্যাপ্রুভড পেমেন্টসহ)
এফএক্স রিটেল ইউজ কেস (BBPS প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে)
ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট ওপেনিং (টার্ম ডিপোজিটের জন্য)
২ লক্ষ সীমা:
জুয়েলারি ক্যাটাগরি
ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট ওপেনিং – প্রাথমিক ফান্ডিং
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ও জীবনবিমাতে উঠে গেল জিএসটি, প্রিমিয়াম কি সত্যিই কমবে?
সব অ্যাপ ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে এবং ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে নির্দেশিকা মানতে হবে।
প্রসঙ্গত, আজকের ভারতে ইউপিআই করে না বা ইউপিআই কী সেটা জানে না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। ভারতের ডিজিটাল পেমেন্টের মেরুদণ্ড এই ইউপিআই। আর ২০২৫ সালের অগস্ট মাসে এই ইউপিআই ছুঁয়ে ফেলেছে এক নতুন রেকর্ড। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া বা NPCI-এর তথ্য অনুযায়ী, এই মাসে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার কোটির বেশি। আর এই সংখ্যা জুলাইয়ের ১ হাজার ৯০০ কোটি লেনদেনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে মোট লেনদেনের মূল্য সামান্য কমে ২৫ লক্ষ ৮ হাজার কোটি থেকে সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটিতে।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে লেনদেনের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি। অর্থাৎ, গত ১ বছরে ইউপিআইয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। এই বছর অগস্ট মাসে দৈনিক গড় লেনদের সংখ্যা ৬৪ কোটি ৫০ লক্ষ লেনদেন হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। ২ অগস্ট প্রথমবার ৭০ কোটির বেশি লেনদেন হয়। আর কয়েক দিন পর তা পৌঁছে যায় ৭২ কোটির উপরে। ২০২৩ সালে যেখানে দৈনিক গড়ে ৩৫ কোটি লেনদেন হত, ২ বছরে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।

কেন্দ্র লক্ষ্য স্থির করেছে একদিনে ১০০ কোটির বেশি লেনদেনের। যা হয়তো আগামী বছরেই ছুঁয়ে ফেলব আমরা। বর্তমানে দেশের খুচরো ডিজিটাল লেনদেনের প্রায় ৮৫ শতাংশই হচ্ছে ইউপিআইতে। আর এই লেনদেনের ৬৬ শতাংশই প্রায় মার্চেন্ট পেমেন্ট। ইউপিআইয়ের এই বিপ্লবের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল এই ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের রিয়েল টাইম পেমেন্টের ব্যবস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে খুব তাড়াতাড়িই ভিসাকে টপকে গোটা বিশ্বে সর্বাধিক ডিজিটাল লেনদেনকারী প্ল্যাটফর্মে পরিণত হতে পারে ইউপিআই।
