আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে মারাত্মক, বিশেষ করে, মধ্যবিত্ত পরিবারের উপর। মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেতন আসে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ইএমআই, ক্রেডিট কার্ড বিল, বিদ্যুৎ-জলের খরচ, বাচ্চাদের ফি এবং বাড়ি ভাড়া মিলিয়ে পকেট খালি করে দেয়। অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স দ্রুত কমে যায়। এই কারণেই সবাই কম বেতনে কীভাবে সঞ্চয় করবেন এবং বাজেট পরিচালনা করবেন তা নিয়ে ভাবেন।
৪০-৩০-২০-১০ নিয়ম কী?
৪০-৩০-২০-১০ এর আর্থিক নিয়ম কম বেতনে বাড়ির বাজেট তৈরির জন্য খুবই কার্যকর। ধরুন আপনার মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে, ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ ১২ হাজার টাকা, প্রয়োজনীয় খরচের জন্য আলাদা করে রাখুন। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং গৃহস্থালীর জিনিসপত্রের মতো খরচ। এর পরে, ৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ৯ হাজার টাকা, আপনার বিনোদন, বাইরে যাওয়া, সিনেমা দেখা এবং খাওয়া-দাওয়ার জন্য রাখুন। বাকি ২০ শতাংশ, অর্থাৎ ৬ হাজার টাকা জরুরি তহবিল হিসেবে সঞ্চয় করুন, যাতে ওই অর্থ কঠিন সময়ে সাহায্য করে। বাকি ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ৩ হাজার টাকা, কোনও প্রকল্পে বিনিয়োগ (যেমন এসআইপি) করুন, যাতে আপনি দীর্ঘমেয়াদে ভাল রিটার্ন পেতে পারেন।
ব্যয় ট্র্যাক করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কম বেতনে বাড়ির বাজেট তৈরির জন্য ৪০-৩০-২০-১০ আর্থিক নিয়ম খুবই কার্যকর। ধরুন আপনার মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে, প্রয়োজনীয় খরচের জন্য ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ ১২ হাজার টাকা আলাদা রাখুন। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং গৃহস্থালীর জিনিসপত্রের মতো খরচ। এরপর, ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৯ হাজার টাকা আপনার বিনোদন, বাইরে ঘুরতে যাওয়া, সিনেমা দেখা এবং খাওয়া-দাওয়ার জন্য রাখুন। এখন ২০ শতাংশ অর্থাৎ ৬ হাজার টাকা জরুরি তহবিল হিসেবে সংরক্ষণ করুন, যাতে তা কঠিন সময়ে সাহায্য করে। বাকি ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩ হাজার টাকা কোনও প্রকল্পে বিনিয়োগ (যেমন এসআইপি) করুন, যাতে আপনি দীর্ঘমেয়াদে ভাল রিটার্ন পেতে পারেন।
কেনাকাটা করার সময় সাবধান
প্রায়শই, লোকেরা পকেট না বুঝেই খরচ করে এবং মাসের শেষে, তারা ভাবতে থাকে যে টাকা কোথায় গেল। এমন পরিস্থিতিতে, প্রতি মাসের শুরুতে আপনার চাহিদার একটি তালিকা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। যা আপনাকে জানাবে যে, কোন জিনিসগুলিতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে এবং কোথায় তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
কেনাকাটার সময় সতর্ক থাকুন
আপনার কেনাকাটার পরিকল্পনা করুন এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করেই বাজারে যান। অনেক সময়, মলের বাই-ওয়ান-গেট-টু অফার বা ছাড়ের কারণে লোকেরা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জিনিস কিনে, যা বাজেট নষ্ট করে। মুদি দোকান বা স্থানীয় বাজার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার চেষ্টা করুন, কারণ এখানে জিনিসপত্র সস্তায় পাওয়া যায়। এছাড়াও, উৎসবের সময় উপলব্ধ অফারগুলির সুবিধা নিতে পারেন।
ঋণ এড়িয়ে চলুন
কম বেতনের মানুষরা যখন হঠাৎ খরচ আসে এবং তাঁরা ব্যক্তিগত ঋণ নিতে বাধ্য হন তখন সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হন। তবে তাৎক্ষণিক ব্যক্তিগত ঋণ অ্যাপ থেকে দূরে থাকা ভাল কারণ তারা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বার্ষিক সুদ চার্জ করে। এমন পরিস্থিতিতে, এগুলি এড়িয়ে চলা এবং জরুরি তহবিল প্রস্তুত রাখা ভাল।
সঠিক পরিকল্পনা ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করবে
আপনি যদি ৪০-৩০-২০-১০ নিয়ম অনুসরণ করেন এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করেন, তাহলে কেবল মাসিক বাজেটই ভাল হবে না, বরং সঞ্চয় এবং বিনিয়োগও সম্ভব হবে। ধীরে ধীরে, আপনি ঋণ এবং অর্থের টানাপোড়েন থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং একটি নিরাপদ আর্থিক ভবিষ্যত তৈরি করতে পারেন।
