আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনলাইন থেকে কোনও জিনিস যদি আপনি নিজের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিনে থাকেন তাহলে সেখানে নিরাপত্তা থাকা অতি দরকার। সেদিক থেকে দেখতে হলে অনেক সময় এখানে নিরাপত্তার দিকটি ভাল করে দেখা হয় না। তার ফল অনেককে ভুগতে হয়।
ফেডেরাল ব্যাঙ্ক এবার একটি বিশেষ ব্যবস্থা শুরু করল। এবার থেকে এই ব্যাঙ্কের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড যাদের কাছে আছে তারা যদি অনলাইনে কোনও জিনিস কিনে নেন তাহলে সেখান থেকে তাদের নিজেদের বায়োমেট্রিক ব্যবহার করতে হবে। এটি হতে পারে আপনার হাতের আঙুলের ছাপ বা হতে পারে আপনার চোখের মাপ।
এই ব্যবস্থা হয়তো সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেবে না। তবে সেখান থেকে দেখতে হলে ফেডেরাল ব্যাঙ্ক এবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেভাবে এটি তৈরি করা হয়েছে সেখান থেকে এই বায়োমেট্রিকের পর আপনার কাছে একটি ওটিপি আসবে। সেটি প্রমাণ করে দেবে যে আপনার বায়োমেট্রিক শেষ হয়েছে। এরপরই আপনি নিজের কেনাকাটা করতে পারবেন। ফলে সেদিক থেকে দেখতে হলে নিরাপত্তার দিকটি অনেকটা শক্তপোক্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ফেডেরাল ব্যাঙ্কের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা চালুর ফলে তাদের নিরাপত্তা আরও বেশি জোরদারহল। সেখানে ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা অনেক বেশি নিশ্চিত হয়ে নিজেদের লেনদেন করতে পারবেন। দেশের প্রথম ব্যাঙ্ক হিসেবে ফেডেরাল ব্যাঙ্ক এই কাজটি শুরু করল। ফলে সেখান থেকে তারা অন্যদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে গেল। এবিষয়ে আরবিআই যে গাইডলাইন দিয়েছে সেটিও মেনে চলা হবে। তাই সেখানে নিরাপত্তার দিকটি অনেক বেশি শক্ত হবে।

এই ডিজিটাল যুগে শপিং মল থেকে হাতের মুঠোয় এসেছে কেনাকাটার সুবিধা। কিন্তু এই সুবিধার সাথে জড়িয়ে আছে নানা রকমের ঝুঁকি। শুধু সচেতনতাই পারে আপনার কঠোর পরিশ্রমের টাকা এবং ব্যক্তিগত তথ্যকে সুরক্ষিত রাখতে।
অনলাইনে পণ্য কেনার আগে প্ল্যাটফর্মটি কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা যাচাই করা জরুরি। পরিচিত ও জনপ্রিয় সাইট তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। অপরিচিত ও নতুন ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ থেকে কেনাকাটায় সাবধানতা দরকার। পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটা করাই ভাল। তাহলে খারাপ পণ্য কেনার ঝুঁকি কম থাকে।
একই প্ল্যাটফর্মে অনেক বিক্রেতা থাকেন। তাই পণ্যের নিচে থাকা গ্রাহকদের রিভিউ ও বিক্রেতার রেটিং দেখে নেওয়া উচিত। খারাপ রিভিউ বা কম রেটিং থাকলে সেই পণ্য এড়িয়ে চলুন।

ফেসবুকে ব্যবসা করা অধিকাংশ পেজের রয়েছে যাদের কোনও ব্যবসায় নিবন্ধন নেই। এমনকি মানসনদও থাকে না। পণ্যের প্রকৃত অবস্থা জানতে চাইলে বিক্রেতার কাছ থেকে আসল ছবি বা ভিডিও চাওয়া যেতে পারে। কারণ, অনেক সময় বিদেশি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া ছবি ব্যবহার করে বিক্রেতারা নিম্নমানের পণ্য পাঠিয়ে দেন।
অনলাইনে কেনা পণ্য অনেক সময় বাস্তবে ভিন্ন হতে পারে। তাই রিটার্ন এবং টাকা ফেরত পাওয়ার শর্তগুলো ভাল করে জেনে নিন। রিটার্ন পলিসি না থাকলে ঝুঁকি বেশি। কিংবা ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ অর্ডার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: সহজে পার্সোনাল লোন পাবেন এসবিআই থেকে, শুধু জানতে হবে এই নিয়ম
শুধু ছবি দেখে নয়, পণ্যের ব্র্যান্ড, মডেল, ম্যাটেরিয়াল, ওয়ারেন্টি ইত্যাদি ভালোভাবে পড়ুন। প্রয়োজনে ইউটিউবে রিভিউ দেখুন বা গুগলে খোঁজ করুন। গ্রাহকের রিভিউ আপনাকে পণ্যটি সম্পর্কে একটি ধারণা দেবে।
একই পণ্য একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মিলতে পারে। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ঘুরে তুলনা করে সবচেয়ে ভাল দামে কিনুন। অনেক সময় পণ্যের দামে ছাড় থাকলেও ডেলিভারি চার্জ বেশি হয়—সেটাও খেয়াল রাখুন। আবার কম দামে পণ্য দিলেও মান ভাল নাও হতে পারে। এসব বিবেচনা করেই নিজের সামর্থ্য অনুসারে সবচেয়ে উপযোগী পণ্যটি কিনুন।
