আজকাল ওয়েবডেস্ক: পারিবারিক অশান্তির জেরে বউমার হাতে খুন হলেন শ্বশুর। মৃতের নাম স্বপন সর্দার (৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার রাজাপুর এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাড়িতে ছেলে প্রদীপ সর্দারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী মৌসুমি সর্দারের সাংসারিক অশান্তি হয়। বচসা ক্রমশ বাড়তে মৌসুমি কাঁচি উচিয়ে স্বামীর দিকে তেড়ে যান। সেই চিত্র দেখে বিপদ বুঝে প্রদীপের বাবা স্বপন ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে আসেন। প্রদীপকে সরিয়ে নিতেই মৌসুমির হাতের কাঁচি গিয়ে সোজা বিঁধে যায় স্বপনের বুকে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।
তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা স্বপনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৌসুমির হাতে থাকা ওই কাঁচির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্বপন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনার পর রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় এই খুনে অভিযুক্ত মৌসুমি সর্দারকে। ধৃতকে শনিবার আলিপুর আদালতে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্বপনের স্ত্রী বলেন, ‘বৌমা মৌসুমি আমার ছেলেকে মারতে গিয়েছিল। আমি তখন ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। সেই সময় ছেলেকে মারতে না পেরে আমার স্বামীকে খুন করে। এই বিষয়ে ক্যানিং এসডিপিও রামকুমার মন্ডল বলেন, ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করা হয়েছে। হেফাজতে রেখে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে’।
কী কারণে এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশের শ্বশুর বৌমার পরকীয়া সম্পর্কের জেরে নিজের ছেলের হাতে খুন হন ব্যক্তি। জানা যায়, নিজের স্ত্রীর মৃত্যুর পর বৌমার সঙ্গেই সারাদিন সময় কাটাতেন শ্বশুর। প্রায়ই গল্পে মশগুল হতেন। এভাবেই হঠাৎ একদিন ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন দু’জনে। যৌনতায় লিপ্তও হন শ্বশুর ও গৃহবধূ। যা সামনাসামনি দেখে ফেলেন ছেলে। এরপরই চরম পদক্ষেপ। বাবার গলা কেটে খুন করেন তিনি। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বর নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ছেলে ভেদপালের ব্যাপক বচসা হয়।
তারপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবার গলা কেটে খুন করেন তিনি। এরপর থানায় গিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ের কেউ তাঁর বাবাকে খুন করেছে।পরে আটক হয়ে ভেদপাল পুলিশকে জানান, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বাবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত দেখে ফেলতেন। বাবা যা রোজগার করতেন, সবটাই স্ত্রীকে দিয়ে দিতেন। এদিকে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করার জন্য বাবার কাছে টাকা চাইলেও দিতেন না। স্ত্রী ও বাবার পরকীয়া ঘিরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শুক্রবার অশান্তির মাঝেই রাগের মাথায় বাবাকে খুন করেন।
