আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা বার বার শিরোনামে এসেছে। রেল ও বন দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। অবশেষে ট্রেনের ধাক্কায় হাতিমৃত্যু আটকাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বন দপ্তর। চাপড়ামারি জঙ্গল সংলগ্ন রেললাইনের ধারে বসানো হয়েছে এআই প্রযুক্তিভিত্তিক অত্যাধুনিক যন্ত্র।

বেশ কয়েক বছর আগে ট্রেনের ধাক্কায় একটি গর্ভবতী হাতির মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকেই বন দপ্তর এই ধরনের ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করছে। যার মধ্যে এটি অন্যতম। যদি হাতি রেললাইন বা আশেপাশের এলাকায় চলে আসে, তাহলে বন দপ্তর এবং রেল দপ্তরকে এসএমএস পাঠিয়ে সতর্ক করবে চাপড়ামারি জঙ্গলে বসানো এই উন্নতমানের এআই যন্ত্রটি। পাশাপাশি হাতি বা অন্য কোনও বন্যপ্রাণী রেললাইনের কাছে আসার বিষয়টি ওই যন্ত্রে থাকা ক্যামেরা ছবির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাবে। 


এই বিষয়ে প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (স্ন্যাপ ফাউন্ডেশন) কৌস্তুভ চৌধুরী জানান, বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করাই শুধু নয়। এই অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিটি বন্যপ্রাণকে আলাদা করে শনাক্ত করা যাবে ও তাদের গতিবিধির উপর সঠিক নজরদারি রাখা যাবে। প্রতিটি বন্যপ্রাণীর গতিবিধির রেকর্ড সংরক্ষিত থাকবে নির্দিষ্ট ডেটা ব্যাঙ্কে। যেকোনও বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই বন দপ্তর এর কাছে খবর চলে যাবে নিমেষের মধ্যে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীদের লাইফ মনিটরিং সম্ভব। 
চাপড়ামারির জঙ্গলে ২৪টি যন্ত্র বসানো হলেও আগামী দিনে বক্সার জঙ্গলে ২৪টি ও কার্শিয়াং এর জঙ্গলে ২২ টি অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তির যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়ে আর্থিক সহায়তা করছে ভয়েস ফর এশিয়ান এলিফ্যান্ট নামে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সংগঠন।

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, ‘এই ধরনের যন্ত্র চাপড়ামারিতে হাতির করিডোরে বসানো হয়েছে। এতে হাতির মৃত্যুর ঘটনা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।’‌