আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা উত্তরবঙ্গে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে গড়িয়ে পড়ল গাড়ি। দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
সূত্রের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কালিম্পং ও সিকিম সীমান্তের কাছে রিয়াং এলাকায়, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। সিকিম থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পথে রিয়াং এলাকায় ২০০ ফুট গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে একটি টাটাসুমো গাড়ি। গাড়িটিতে চালক-সহ মোট ১০ জন ছিলেন।
গভীর খাদে গাড়িটি উল্টে যেতেই বিকট শব্দে টের পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর ঘটনাস্থল থেকে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে দু'জনের মৃত্যু হয়েছিল। হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাকি সাতজন। আহতদের রম্ভি হাসপাতাল-সহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন, বর্ধমানের বাসিন্দা সুমিত মালি, ময়নাগুড়ির বাসিন্দা তুষার বর্মন, রংপোর বাসিন্দা রাম বাহাদূর ছেত্রী। আহত হয়েছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা গৌতম রায়, শিলিগুড়ির বাসিন্দা নির্মা শেরপা, সাগর শর্মা, গ্যাংটকের বাসিন্দা অনুজ কুমার প্রসাদ, বীরভূমের বাসিন্দা সবুজ কুমার ঘোষ। বাকি দু'জনের পরিচয় জানা যায়নি।
গত রবিবার উত্তরবঙ্গে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০০ মিটার গভীর পাহাড়ি খাদে গড়িয়ে পড়ে একটি গাড়ি। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তিনজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার গভীর রাতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়। সিটং ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সহ তিনজনেই ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিটং-লাটপানঞ্চর-বাগোড়া সড়কের মানা এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার ধারে দুর্ঘটনার চিহ্ন দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহতদের খাদ থেকে উদ্ধার শুরু করে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের নাম ব্রিগেন ভুজেল, রূপেন খাওয়াস এবং রমেশ গুরুং। সিটং ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন ব্রিগেন ভুজেল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্ত বিভাগের অধীনে থাকা এই রাস্তাটির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে এই ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বারবার বেড়ে চলেছে। দুর্ঘটনার তীব্রতার কারণে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গভীর খাদ থেকে গাড়িটি উদ্ধারের জন্য একটি ক্রেনও ব্যবহার করা হয়েছে।
